পাথরঘাটার হরিণঘাটার অপরুপ সৌন্দর্য আজ ধ্বংশের পথে
বিশখালী ও বলেশ্বর নদীর মোহনায় বঙ্গোপসাগরের উপকূলে এমন এক চমৎকার বন দাঁড়িয়ে আছে বরগুনার পাথরঘাটায়। হরিণঘাটার বন নামে পরিচিত এই বনে দিনদিন বেরে চলছে। আর এই আকর্ষণ আজ বিলুপ্ত পথে।
২০ হাজার একর জুড়ে দৃষ্টিনন্দন এই বনে প্রাকৃতিক কেওড়া, গেওয়াসহ সৃজিত সুন্দরী ও ঝাউবন। বন অধিদপ্তর ১৯৬৭ সালে হরিণঘাটা বন সম্প্রসারণে পরিকল্পিত বনায়ন শুরু করে। পরে ২০১৩ সালে এখানে ১০০ হেক্টর এলাকাজুড়ে সমৃদ্ধি কর্মসূচির আওতায় নতুন বন সৃজিত হয়।
বনের ভেতরে পর্যটকদের পায়ে চলার জন্য তৈরি কর হয়েছিল (ফুট ট্রেইল) বা সেতু আর এই মায়ায়ই দর্শনার্থীদের টানছে এখানে। আর এই ফুট ট্রেইল এখন ভেঙ্গে নেই বললেই চলে। এখানে চলতে গেলে মৃত্যুর ঝুকি নিয়ে চলতে হয়। কারন, এই ফুট্রেইলের পায়ে চলার পথ নির্মাণের ফলে হরিণঘাটা বন আকর্ষণীয় পর্যটনের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। বনের ভেতর উঁচু পিলারে তৈরি করা হয়েছে চার তলা ওয়াচ টাওয়ার যার উপর দাড়িয়ে মানুষ নিরাপদ ও স্বচ্ছন্দে বনের প্রাণ-প্রকৃতি ও সাগরতীর দর্শনের সুযোগ পাচ্ছে। বনের ভেতর নির্মাণ করা হয়েছে বিশ্রামাগার ও গোলঘর যেখানে পর্যটকরা বিশ্রাম নিতে পারে।
স্থানীয়রা জানান, এই বনের ভিতরের দৃশ্য দেখার জন্য ফুটট্রেইল নির্মান করার হয়েছে পর্যটকদের জন্য। আর এই ফুটট্রেইলের বিভিন্ন স্থনে ভেঙ্গে পরে গেছে। এই ভাঙ্গা অংশ থেকে মৃত্যুর যুকি নিয়ে পর্যটকদের যেতে হয় ঞরিণঘাটার ভিতরের দৃশ্য খোর জন্য। তারর আরো সরকারের উদ্যোগ ও প্রচারণায় আস্তে আস্তে পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে এই বন।
পাথরঘাটা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, হরিণঘাটা থেকে লালদিয়া সমুদ্রপাড় পর্যন্ত যেতে ৯৫০মিটার ফুট-ট্রে ব্রিজ, ৪টি পাকা গোলঘর, একটি ব্রিজ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে লালদিয়া ও হরিণঘাটা পর্যটনকেন্দ্র উন্নয়নের জন্য সব কাগজপত্র জমা দেয়া হয়েছে। ত্রিমুখী এই পর্যটন এলাকা সুন্দরবন ও কুয়াকাটার মাঝখানে। লালদিয়া, সোনাকাটা ও কুয়াকাটা নিয়ে সরকারের পর্যটন জোন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ফুট-ট্রেইল ব্রিজের কিছু কিছু অংশ ভেঙে গেছে এগুলো মেরামতের জন্য ডিএফও পটুয়াখালী বরাবর আবেদন করা হয়েছে।