পাথরঘাটায় রমজানে বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বেড়েই চলছে
বরগুনার পাথরঘাটা বাজরের রমজানের শুরুতেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। মাছ, মাংসসহ অন্যান্য জিনিসের দাম কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও বেড়েছে শাক-সবজিসহ কাঁচামালের দাম। এতে অস্বস্তিতে রয়েছে সাধারণ ক্রেতারা। প্রতিবছরই রমজানের অযুহাতে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাজারকে অস্থিশীল পরিবেশ করে থাকে এবং বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়িয়ে দেয়।
রোববার (১২ মে) সকালে পাথরঘাটা পৌরশহরের বাজারে গিয়ে দোকান গুলোতে ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে ভোক্তা অধিকার আইন অনুয়ায়ী প্রত্যেক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা টানিয়ে রাখার কথা থাকলেও বেশীর ভাগ দোকানেই কোন মূল্য তালিকা নেই। যার কারনে যে যার ইচ্ছে মতো হাকিয়ে নিচ্ছে ক্রেতাদের কাছ থেকে পণ্যের দাম।
সরেজমিনে গিয়ে পাথরঘাটা পৌরশহরের বড় কাচাবাজরে গিয়ে দেখাগেছে, প্রতি কেজি ঢেঁড়স ৩০ টাকা, বেগুন ৭০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, পুঁইশাক ১৫ টাকা, কাঁচামরিচ ১২০ টাকা, আলু ১৮ টাকা, কাঁচা কলা ৩০ টাকা, পেঁয়াজ ২৮ টাকা, যাহা রমজানের আগে দাম অনেক কম ছিল, এছাড়া কাচাবাজার অন্যান্য শাক-সবজি ও তৈরিতরকারীর দাম আগের তুলনায় অনেকটা বেড়েছে। রমজান মাসের আগে এ সকল জিনিসের দাম অনেক কম ছিল, যাহা রমজান শুরু হওয়ায় কেজি প্রতি ৫ টাকা থেকে ২০টাকা বেড়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
এদিকে বাজারে মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে। প্রতি কেজি রুই মাছ ৩৭০ টাকা, কাতলা মাছ ২৮০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৫৫০ টাকা কেজি, শিং ও মাগুর মাছ ৭৫০ থেকে ৮শ টাকা, গলদা চিংড়ি ৮শ টাকা, শোল মাছ ৫০০ টাকা, তাছারা ইলিশ মাছের বিভিন্ন সাইজের উপরে বিভিন্ন রকমের দাম নিধারন করা হয়েছে। দেশী মুরগী ৩৫০ টাকা, পোল্ট্রি ১৭০ টাকা, গরুর মাংস ৫০০ টাকা, খাসি ৭৫০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করছে দোকনীরা।
তাছাড়া বাজারে মুসরির ডাল ১১০ টাকা, ছোলাবুট ৮৫ টাকা, সয়াবিন তেল সয়াবিন ৮০ টাকা, আটা ৩৫ টাকা, চিড়া ৬০টাকা, মুড়ি ১০০ টাকা, আদা ১২০ টাকা তবে চিনির দাম আগের মতই আছে বলে জানান দেকানীরা। গত বছরের তুলনায় সকল নিত্য প্রয়োজনীয় মালামালের দাম অনেকটাই বেড়েছে।
এদিকে ভূক্তভোগী সাধারণ ক্রেতারা জানান, এবার রমজান মাসে জিনিসপত্রের দাম আগের তুলনায় বেড়েছে। তবে কাঁচাবাজারে পণ্যের দাম যে পরিমানে বেরেছ তা নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে সাধারণ ক্রেতারা। তারা আরো জানান, মনিটারিং ব্যবস্থা না থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামতো জিনিসের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে।
পাথরঘাটা পৌরশহরের রাসেল স্কয়ারের মুদি ব্যবসায়ী সাইকুল ইসলাম জানান, গত বছরের তুলনায় নিত্য প্রয়োজনীয় মালামালের দাম অনেকটাই বেড়েছে।