হরিনঘাটা পর্যটন কেন্দ্র এখন শুধুই একটা রুপ কথার গল্প ( ভিডিও)
বরগুনা পাথরঘাটার সংরক্ষিত হরিণঘাটা ম্যানগ্রোভ বন আর সাগরের বিশাল জলরাশি এক সময় মানুষের সমাগম বাড়িয়ে দিয়েছিলো যা এখন এই অঞ্চলের
মানুষের জন্য শুধুই রুপ কথার গল্প
এখানে ছিলো একটি পায়ে চলার উচুঁ পথ। এ উচুঁ পথের নাম ফুট ট্রেইল। এটি নির্মাণ হয়েছিলো ২০১৩ সালে। যা বনের ভেতর এঁকেবেঁকে চলা উঁচু পিলারের ওপর পায়ে চলা পথ দিয়ে প্রকৃতিপ্রেমী মানুষ নিরাপদে ও স্বাচছন্দে বনের প্রকৃতি ও সাগর তীর দর্শনের সুযোগ পেয়েছিলো
কিন্তু এখন সেই ফুটওভার ব্রীজ নেই আছে শুধু মাত্র মরন ফাদ।
সাগরের কোল ঘেঁষা হরিণঘাটা বনের ভেতর নির্মাণাধীন ফুট ট্রেইল (বনের ভেতর পায়ে চলা সেতু আকৃতির পথ)
যা এক সময় আকর্সিত করেছিলো দেশ বিদেশি দর্শনার্থীদের ফলে হরিণঘাটা বনাঞ্চল সহ পাথরঘাটা বরগুনায় গড়ে উঠতে শুরু হয়েছিলো সম্ভাবনাময় উন্নয়নশীল অনেক কর্মকাঠামো।
আকর্ষণীয় এই পর্যটন সম্ভাবনার শহর পাথরঘাটা এখন থমকে গেছে হারিয়ে যেতে বসেছে এই অঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের সেই পর্যটন কেন্দ্র।
হরিণঘাটা বনাঞ্চলে ইকো ট্যুরিজম হিসেবে গড়ে তুলতে দর্শনার্থীদের স্বাচ্ছন্দ চলাচলের জন্য বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় জলবায়ু ট্রাস্টের তহবিলের আওতায় বনের ভেতর একটি ঝুলন্ত সেতুসহ পায়ে চলা পথ (ফুট ট্রেইল)
ওয়াচ টাওয়ার বসার বিশ্রামাগার সহ ঝাঊবন বনের ভেতরে রাস্তা নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়
মোট ২ হাজার ৯৫০ মিটার দৈর্ঘ্য এ ফুট ট্রেইল বাস্তবায়নের কথা থাকলেও শুধু মাত্র ১ হাজার মিটারেই সমাপ্ত হয়ে যায়
এখানে শুধু বন নয় দেখা যায় সাগরের মোহনায় সৃজিত ঝাউবনের পর বিস্তৃত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাগর তীরে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত।
হরিণঘাটা বনকে পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে নানা কার্যক্রম এর কথা শুনলেও যা এখন রুপ কথার গল্প হয়ে গেছে।
পাথরঘাটা উপজেলা শহর হতে ৬ কিলোমিটার দূরে সাগর মোহনায় প্রাকৃতিকভাবে গড়ে ওঠে হরিণঘাটা বন। ১৯৬৭ সাল থেকে বন বিভাগ এই বনটি সম্প্রসারণে নানা প্রজাতির বৃক্ষ দিয়ে বন সৃজন শুরু করে। বর্তমানে ২০ হাজার একর জুড়ে দৃষ্টিনন্দন এ বনে প্রাকৃতিক কেওড়া, ও গেওয়াসহ সৃজিত সুন্দরী ও ঝাউবন রয়েছে। হরিণঘাটার পূর্বে বিষখালী আর পশ্চিমে বলেশ্বর নদ এসে মিশেছে বঙ্গোপসাগরে। সাগরের কোল ঘেষা মোহনায় প্রাকৃতিক বন।
বনের ভেতর নিসর্গের মায়া মুগ্ধতা। এখানে হিংস্র প্রাণী না থাকলেও আছে হরিণ, বন মোরগ, বানর, শুকর, গুইসাপ, নানা প্রজাতির সরীসৃপসহ ২০ প্রজাতির বন্য প্রাণী। বনে আছে অন্তত ৫০ প্রজাতির পাখি আর অগণিত ফরিং ও প্রজাপতিসহ নানা প্রাণীকূল । শীত মৌসুমে সৃষ্টি হয় বিদেশী পরিযায়ী পাখীর পদচারণা।
এখানে গেওয়া, কেওড়া, পশুর আর সৃজিত সুন্দরী, ইউক্যালিপটাস আর ঝাউবন আগলে বেঁচে থাকে অন্তত পাঁচ হাজার বনজীবী। বনের ভেতরে এঁকে বেঁকে চলা ছোট বড় মিলিয়ে ১০/১২টি প্রবহমান খাল। সেই সাথে বনের দক্ষিণ সীমানায় সাগর মোহনার চরে শুটকি পল্লী। সেখানে নিসর্গের প্রাণ প্রকৃতি, সকালের সূর্যোদয় আর অস্তগামী সূর্য দৃশ্যমান হয়, নিসর্গ মায়া মুগ্ধতায় বিমোহিত হয় মন।
এই অপার সৌন্দর্যে সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্রটি সংস্কার না করা হলে মানুষ ভূলতে শুরু করবে এখানে হরিনঘাটা পর্যটন কেন্দ্র নামে কোন স্থান ছিলো