পাথরঘাটায় কবিরাজের ভুল চিকিৎসায় কলেজছাত্র পঙ্গু
বরগুনার পাথরঘাটায় জহির নামে এক কলেজ ছাত্র ইলিয়াস কবিরাজের ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে একটি পা হারিয়ে পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছেন। বর্তমানে বাগেরহাট একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন। এদিকে জহিরের পরিবার হতদরিদ্র হওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ এলাকাবাসীর কাছ থেকে চাঁদা তুলে দীর্ঘদিন যাবত জহিরের চিকিৎসা করে আসলেও বর্তমানে অর্থাভাবে চিকিৎসা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
জানা গেছে, চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি চরলাঠিমারা গ্রামের চান মিয়ার ছেলে পাথরঘাটা ডিগ্রি কলেজের ছাত্র মো. ইলিয়াস পার্শ্ববর্তী হরিণঘাটা নামকস্থানে হাডুডু খেলতে গেলে আঘাত পেয়ে বাম পা ভেঙ্গে যায়। তাৎক্ষণিক তাকে স্থানীয় কবিরাজ ইলিয়াসের কাছে নিলে কবিরাজ ইলিয়াস তিন দিনের একটি মুরগির ছানা পিসে মলম তৈরি করে জহিরের ভাঙ্গা পায়ে মালিশ করে লতা-পাতা দিয়ে পা বেন্ডেজ করে দেয়। কিছু দিন পরে পা থেকে দুর্গন্ধ বের হলে জহিরের পিতা চান মিয়া কবিরাজের বাধা উপেক্ষা করে স্থানীয় হাসপাতাল থেকে একজন চিকিৎসক বাড়িতে নিয়ে পায়ের বেন্ডেজ খুলে দেখে পায়ের অনেক অংশ পচে গেছে। পরে জহিরের হতদরিদ্র পিতা চান মিয়া জহিরের সহপাঠীদের সহযোগিতায় এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ এলাকার বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে সাহায্য তুলে ছেলেকে বাঁচাতে পাথরঘাটা হাসপাতালে নিয়ে আসলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জহিরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়া তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করে। বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক জহিরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করে। এব্যাপারে জহিরের বড় ভাই মো. ঈসা মিয়া বলেন, কবিরাজ ইলিয়াসের ভুল চিকিৎসার কারনে জহিরের বাম পায়ের নিচ থেকে হাটু পর্যন্ত পচে গেছে। উন্নত চিকিৎসা হলে জহিরকে প্রাণে বাঁচাতে পারলেও তার বাম পা কেটে ফেলতে হবে। এ ব্যাপারে কবিরাজ ইলিয়াসের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এরকম অনেক চিকিৎসা করেছি,তবে দু-একটা সমস্যা হতেই পারে এটা বড় ধরনের কোন ভুল না।