মঠবাড়িয়ায় অপহরণের ৭ দিন পর মাদ্রাসা ছাত্রী উদ্ধার, অভিযুক্ত গ্রেফতার
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় অপহরণের ৭ দিন পর ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া মাদ্রাসা ছাত্রী(১৫)কে উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
শুক্রবার ভোরে পার্শ্ববর্তী ভান্ডারিয়া থানার উত্তর ভিটাবাড়ি গ্রাম থেকে অপহরণকারীর ফুপা রুবেল জমাদ্দারের বাড়ি থেকে অপহৃতা মাদ্রাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করে। এ সময় অপহরণকারী ইউসুফ (১৯)কে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া অপহরণ মামলার আসামী ইউসুফের বাবা আ. ছালাম (৪৬), মা রহিমা বেগম (৪২) ও বোন খাদিজা বেগম (৩২)কে পুলিশ আগেই গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠায়। অপহরণকারী ইউসুফ একই মাদ্রাসার আলীম শ্রেণির ছাত্র।
মামলায় বাদি অভিযোগ করেন, উপজেলার দক্ষিণ বেতমোর গ্রামের সৌদি প্রবাসী শাহজাহান পঞ্চায়েতের মেয়ে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে পার্শ্ববর্তী আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ইউসুফ মাদ্রাসায় আসা যাওয়ার পথে উত্যক্ত করে আসছিল। এক পর্যায়ে গত ৩ মে সন্ধ্যায় ঘূর্ণিঝড় ফণীর মহা বিপদ সংকেত চলাকালে ওই ছাত্রী ঘর থেকে বের হলে ইউসুফ তার আত্মীয় স্বজনের সহযোগিতায় অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে গত ৬ মে মঠবাড়িয়া থানায় ৯ জনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন।
উদ্ধারের পর মেয়েটি সাংবাদিকদের জানিয়েছে, সে স্বেচ্ছায় ইউসুফের সঙ্গে চলে গেছে। কেউ তাকে অপহরণ করেনি।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আব্দুল্লাহ জানান, ভিকটিম মাদ্রাসা ছাত্রীকে শনিবার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় পাঠানো হবে। গ্রেফতারকৃত অপহরণকারী ইউসুফকেও শনিবার আদালতে সোপর্দ করা হবে।