৩ যুগেরও বেশি সময় ধরে চুরিতে অভিজ্ঞ, চোর যাদুকর শামসু
বরগুনা জেলার পাথরঘাটার উপজেলার পৌর এলাকার ৯ নং ওয়ার্ডে বসবাস শামসুর যার মূল পেশা চুরি করা।
জানা গেছে ১৯৯৫ /১৯৯৭ সালে দুইবার এলাকায় ঘরের মালামাল চুরি করে ধরা পরে শামসু। এর পরে বহু চুরির ঘটনায় যুক্ত থাকলেও ধরা ছোয়ার বাহিরে এই চুরির যাদুকর শামসু।
জানা গেছে বরগুনা, মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর, তালতলী, আমতলী, পটুয়াখালী এছাড়াও দূর দূরন্তে তার রয়েছে বহু ভক্ত বৃন্দ ও চেলা তার প্রতিনিধিত্ব করে থাকেন তিনি
বিভিন্ন এলাকায় ধরাও পড়ে মার খেয়ে সেরেছিলো স্বভাব তবে ২০০৩/ ২০০৪ সালে দক্ষিণ অঞ্চলে মোবাইলের আনাগোনা হলে তিনি মোবাইল চুরির বড় ধরনের নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত হন।
একটান মোবাইল চুরিতে টাকা পয়সার মালিক হলে সেই টাকা দিয়ে ধান শুপারির বেপারী ব্যাবসায় যুক্ত হন শামসু পরে ব্যাবসায় লোকশান হলে সব ছেড়ে আবার যুক্ত হন
নিজের মূল পেশায়।
সর্বশেষ পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া ভগিরথপুর বাজারে পকেট থেকে টাকা চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন শামসু চোর। তাকে এলাকাবাসী গলায় জুতার মালা দিয়ে বাজারে বাজারে ঘুড়ান। ভগিরথপুর বাজার ব্যবসায়ী হেমায়েত জানান। পকেটে কেটে ধরা পড়লে সাধারণ জনতার হাতে গণধোলাই খায় শামসু। পরে মুখে দাড়ি ও বয়স্ক দেখে এলাকার ব্যাবসায়ীরা গলায় জুতার মালা দিয়ে ঘুড়ায় তাকে।