পাথরঘাটায় ধর্ষণে ব্যার্থ হয়ে মা মেয়েকে কামড়ে জখম করে দিলো ধর্ষক
বরগুনার পাথরঘাটায় ধর্ষণে ব্যার্থ হয়ে এক কিশোরী ও তাঁর মাকে কামড়ে যখম করেছে এক বখাটে। ঘটনার পর উভয়কেই পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে বরগুনা নারী শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
এর আগে গত শনিবার বিকালে পাথরঘাটা উপজেলার দক্ষিন পাথরঘাটা গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।
বাদীর মামলার অভিযোগ করেন, তার মেয়ে পাথরঘাটার একটি বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে লেখা-পড়া করেন। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী তানভীর তাকে উত্যক্ত করে আসছে। এক পর্যায়ে ছাত্রীর বাবা তানভীরের বাবার কাছে ছেলের এসব ঘটনা জানিয়ে নালিশ দেয়। এতে তানভীর ক্ষিপ্ত হয়ে গত শনিবার বিকেলে ওই ছাত্রƒর মা ঘরে না থাকার সুযোগে তানভীর ঘরে ঢুকে ওই স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। ছাত্রীর মা পাশের বাড়ি থেকে এসে এ অবস্থায় দেখে তানভীরকে জুতাপেটা করলে ছাত্রী ও তার মা’র শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়ে যখম করে পালিয়ে যায়। পরে ছাত্রীর বাবা এসে উভয়কে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
ছাত্রীর বাবা বলেন, চারদিন চিকিৎসা দেয়ার পর বুধবার পাথরঘাটা থানায় মামলা করতে গেলে থানা মামলা নেয়নি। পরে বৃহস্পতিবার আদালতে মামলা দায়ের করি। আদালত মামলাটি গ্রহন করে পাথরঘাটা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীনকে সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফ সিকদার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এ ব্যাপারে থানায় কেউ অভিযোগ করতে আসনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হত।
এবিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফাতিমা পারভীন জানান, আমি এরকম একটি ঘটনার কথা শুনেছি তবে এখন পর্যন্ত আদালতের নির্দেশ ও মামলার কপি হাতে পাইনি।