বরগুনা জেলা সাস্থ্য কমপ্লেএক্সের ৩১ কোটি টাকার ভবনটির গুণগত মান ঠিক নেই-দুদক
বরগুনায় নির্মাণাধী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি প্রতিনিধি দল। “বরগুনায় নির্মাণাধীন ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ভবনে ফাটল” শিরোনামের প্রতিবেদন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর দুদকের প্রতিনিধি দলটি ভবন নির্মাণ কাজের গুণগত মান পরিদর্শন করেছেন।
সোমবার (৬ মে) দুপুর ২টার দিকে দুদক পটুয়াখালী সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোজাম্মিল হোসেনের নেতৃত্বে চারজনের একটি প্রতিনিধি বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের নির্মাণাধীন ২৫০ শয্যা হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন- উপ-সহকারী পরিচালক মো. আরিফ হোসেন ও সহকারী পরিদর্শক সাইদ আনোয়ার।
মোজাম্মিল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন , ‘আমরা ভবনটির চারপাশ ও ভেতরে পরিদর্শন করেছি। বিভিন্ন স্থানে আমরাও ফাটল দেখতে পেয়েছি। নতুন একটা ভবন হস্তান্তরের আগেই এভাবে ফাটল দেখা দেওয়ায় আমাদের দৃষ্টিতে মনে হয়েছে ভবনটির গুণগত মান ঠিক নেই। তবে যেহেতু এটি একটি টেকনিক্যাল বিষয় তাই এর কোনও সঠিক ব্যাখা আমরা দিতে পারবো না।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সরেজমিনে যে বিষয়টি দেখেছি সেই অনুযায়ী আমরা একটি প্রতিবেদন পাঠাবো। এরপর দুদক যদি মনে করে এ বিষয়ে তারা আরও কঠোর পদক্ষেপ নেবে, সেক্ষেত্রে আমরা এই ভবনটির টেকনিক্যাল বিষয়গুলো দেখার জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের সহায়তা নেবো।
এ বিষয়ে বরগুনা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু জাফর বলেন, ‘জেনারেল হাসপাতালে দেয়ালের ফাটল কোনও ব্যাপার না। যদি গ্রেড বিমে ফাটল দেখা দিতো তাহলে আমরা অবশ্যই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতাম।’
গণপূর্ত বরগুনা জেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বরগুনা সদর হাসপাতালকে ৫০ শয্যা থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করার জন্য গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে একটি ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এরপর ২০১৩ সালে গণপূর্ত বিভাগ ৩১ কোটি ৩১ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৭ টাকা ব্যয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আ. খালেক এন্টারপ্রাইজকে ভবনটি নির্মাণের জন্য কার্যাদেশ দেয়। কার্যাদেশ অনুযায়ী ৩০ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ৬ বছরেও কাজ শেষ করতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে ভবনটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দেয়।
সুত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন