মরনের সাথে যুদ্ধ করে শেষ পর্যন্ত না ফেরার দেশে চলে গেলেন আসাদুল্লাহ!

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০২:৩৫ পিএম, ৯ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১০:০১ পিএম, ১০ মার্চ ২০১৮

মৃতঃ আসাদুল্লাহ
অনলাইন নিউজ ডেস্কঃ উপজেলার পাথরঘাটা পোরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুল্লাহকে (২৩) কে আর বাঁচানো গেল না। দীর্ঘদিন চিকিৎসা থাকার পরে ঢাকা মেডিকেলের আইসিওতে আজ শুক্রবার সকাল ১০ টায় মৃত্যুবরণ করেন আসাদুল্লাহ। তার বড় ভাই হাসান সহ উপজেলা বিএনপির একাধিক সুত্র,
আসাদুল্লাহর মৃত্যু সংবাদ পাথরঘাটা নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।

পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শুক্রবার (২৩ ফেরুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে পৌর ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক মো. সোহাগ মিয়া ও তার সহযোগি রুবেল কুটিয়াল প্রকাশ্যে ধারালো ছুরি দিয়ে সাবেক ইউপি সদস্য আ. গণি হাওলাদারের বাড়ির সামনে কুপিয়ে ফুসফুস, কিডনি ও হৃৎপন্ডে মারাত্মকভাবে জখম করে এবং ডান পায়ের রগ কর্তন করে দেয় আসাদুল্লাহ,র

আসাদুল্লাহ পাথরঘাটা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও মো. আলাউদ্দিন হাওলাদারের ছেলে।

পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা মো. খবীর আহম্মেদ , ঘটনার পরই সন্ত্রাসী আতুর সোহাগের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রামদাসহ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে কিন্তু সোহাগকে গ্রেফতার করা সক্ষম হননি।

পাথরঘাটা নিউজের সাথে আলাপ কালে তিনি আরও জানান, গুরুতর আহত আসাদুল্লাহর বাবা মো. আলাউদ্দিন হাওলাদার ৫ জনকে আসামী করে মামলা করেছে। সোহাগের সহযোগি রুবেলের বাবা ওই মামলার ৩ নম্বর আসামী মো. জাহাঙ্গীর খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেফতারের জন্য  চেষ্টা চলানো হচ্ছে বলে জানান পাথরঘাটা থানার (ওসি)

এদিকে উপজেলা, পৌর ছাত্রলীগের একাধিক নির্ভরযোগ্য নেতাকর্মী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্র থেকে জানাগেছে, সোহাগ ওরফে আতুর সোহাগ বিভিন্ন জায়গায় ভাড়ায় গিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে। এসব কর্মকান্ডের কারণে সে এলাকায় আতুর সোহাগ নামেই পরিচিত। তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট সহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।

পাথরঘাটায় আসাদুল্লাহ,র মৃত্যুর খবরে চলছে শোকের ছায়া বিভিন্ন মহলের সাথে পাথরঘাটা নিউজের সাক্ষাৎকালে জানা যায় আতুর সোহাগ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ছাড়াও-ইয়াবা, গাজা চোরাচালানকারীর সাথে জড়িত। এলাকার মানুষ তার ভয়ে রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে সাহস পায়না। সাধারণ মানুষের ধারনা এই ভাবে চলতে থাকলে বাপ দাদার ভিটা-বাড়ি ছেড়ে পালাতে হবে তাদের।  সোহাগ ও রুবেলদের ভয়ে নাম না প্রকাশ করার শর্তে অনেকেই বলছেন তারা এলাকার বাহিরে বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি মানুষ খুনের মত কাজেও যুক্ত আছে। সারাদিন নেশা করে সোহাগ যাকে তাকে রাস্তাঘাটে খারাপ অসৎ আচরন করতো।

আতুর সোহাগ পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি এনামুল হোসেন বেলাল এর সহযোগী বলেও দাবী করেন নাম না প্রকাশের শর্তে উপজেলা ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান সোহাগ জানান, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালানোর কারণে সম্প্রতি পৌর কমিটি থেকে সোহাগকে বহিষ্কার করার নির্দেশ দিয়েছি।
এসব বিষয়ে পাথরঘাটা নিউজ টিম খোজ নিলে বহিষ্কার এর কোনো কার্যকরী  নথি পত্রের সন্ধান  এখন পর্যন্ত হাতে পায়নি কেউ

তবে সোহাগ ওরফে আতুর সোহাগ পৌর ছাত্রলীগের কমিটিতে নেই বলে দাবী করেছেন পাথরঘাটা পৌরছাত্রলীগের সভাপতি এনামুল হোসেন বেল্লাল ও পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন মধু । একাধিক সুত্রে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা উপজেলার প্রায় কার্যক্রম থেকে শুরু করে অনেক নেতার সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের উঠা-বসার ছবি ভাইরাল হয়েছে মিডিয়াতে।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক ছাত্রলীগ নেতা জানান, সোহাগ পৌর ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক হিসেবে ছিল। তার কর্মকমান্ডের কারণে সম্প্রতি তাকে রেজুলেশনের মাধ্যমে কমিটি থেকে বহিষ্কার হয়েছে।

এদিকে আসাদুল্লাহর বড় ভাই হাসান বলেন, সোহাগের মৃতুর আগে কালীন তাদের অনেক হুমকির শিকার হতে হয়েছে।
২৩ তারিখ থেকে শুরু করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভাইকে বাচাঁতে ব্যায়বহুল চিকিৎসা ও আইসিওতে রেখেও ভাই কে বাচাঁতে পাড়েনি তারা অবশেষে সবাইকে ফাঁকি দিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তার ভাই।

এ এম বি / পাথরঘাটা নিউজ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)