ফের নিম্নচাপের আশঙ্কা
ঘূর্ণিঝড় ফণীর পর চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে আরও একটা নিম্নচাপের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সঙ্গে বয়ে যেতে পারে তীব্র দাবদাহ। তাপমাত্রা ছাড়াতে পারে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি।
গতকাল মঙ্গলবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় রাজশাহীতে, ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এ দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে আরও চার থেকে পাঁচ দিন। গত এপ্রিলে সারাদেশে গড়ে ২০ দশমিক পাঁচ শতাংশ বৃষ্টি কম হলেও কালবৈশাখী আঘাত হেনেছে আগের বছরের এপ্রিলের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেশি। গতকাল দেশের বেশির ভাগ স্থানের তাপমাত্রা দুই থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বেড়েছে।
এর মধ্যে রাজশাহী ও খুলনা বিভাগ এবং টাঙ্গাইল, নীলফামারী, দিনাজপুরে তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে, যা দাবদাহ হিসেবেই পরিচিত। আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান বলেন, ‘টাঙ্গাইল, দিনাজপুর ও সৈয়দপুর অঞ্চলসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে সোমবার থেকে এই মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী কয়েক দিনে এর বিস্তার আরও বাড়তে পারে।’
গতকাল মঙ্গলবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র স্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সামান্য বাড়তে পারে সারাদেশের দিন ও রাতের তাপমাত্রা। চলতি মৌসুমে এপ্রিলের শেষে এক দফা দাবদাহ বয়ে যায় দেশজুড়ে।
২৯ এপ্রিল রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ ওঠে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এরই মধ্যে ৩ মে থেকে তিন দিন ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে হওয়া বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় বাংলা কিছুটা শীতল। কিন্তু দুই দিন না যেতেই আবারও তাপপ্রবাহের কবলে দেশ। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, চলতি মে মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার শঙ্কা রয়েছে।
মে মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে বলা হয়, উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি তীব্র তাপপ্রবাহ (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে) এবং অন্যত্র এক থেকে দুটি মৃদু তাপপ্রবাহ (৩৬-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি তাপপ্রবাহ (৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বয়ে যেতে পারে।
সেই সঙ্গে দেশের উত্তর থেকে মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিন দিন মাঝারি বা তীব্র কালবৈশাখী এবং দেশের অন্যত্র তিন থেকে চার দিন হালকা বা মাঝারি কালবৈশাখী হতে পারে। এ সময় শিলাবৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।