পাথরঘাটায় ফণী’র আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার খোলা আকাশের নিচে
বরগুনার পাথরঘাটায় ঘূর্ণিঝড় ফণী’র প্রভাবে ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেকের ঠাঁই হয়েছে খোলা আকাশ। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ এসব পরিবারগুলো দুর্ভোগ আর অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। কিভাবে ঘুরে দাঁড়াবে আর কিভাবে নতুন করে ঘর নির্মাণ করবে এমন ভাবনায় সময় কাটছে তাদের। রোববার (৫ মে) সকালে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে ক্ষতিগুস্থ্য পরিবারের কাছ থেকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গত শুক্রবার (৩ মে) দিবাগত দুপুর থেকে ভোররাত পর্যন্ত কয়েক ধাপে বয়ে যাওয়া ঝড়ে পাথরঘাটা পৌরসভা, কালমেঘা ইউনিয়ন, সদর ইউনিয়নের হরিণঘাটা, রুহিতা, চরদুয়ানি ইউনিয়নের মধ্য চরদুয়ানি, কালিয়ারখাল বাধাঘাটাসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় দেড় হাজার ঘরবারি কোথাও পুরোপুরি আবার কোথাও আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে।
চরদুয়নি ইউনিয়নের সদস্য শাহিন মিয়া জানান, চরদুয়ানী বাধঘাটা এলাকায় দমকা হাওয়ার প্রভাব শুরু হলে রাত দেড় টার দিকে হঠাৎ ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে প্রায় শতাধীক ঘর ভেঙ্গে পড়ে যায়। এ সময় ঘরের নিচে চাপা পড়েও দাদী ও নাতীসহ দুইজন মারা গেছে। তিনি আরো জানান, এদের মধ্যে কারও চাল উড়িয়ে নিয়ে গেছে আবার কারও পুরো ঘর ভেঙে গেছে।
পাথরঘাটা উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বরগুনা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ত্রান বিতরন করা হবে। নিহতদের পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।।
তিনি আরো জানান, পাথরঘাটা উপজেলায় এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ ও আংশিক ক্ষতিগ্রস্থের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ২শ এর মত তবে এই ক্ষতি গ্রস্থ্যের সংখ্যা বরতে পারে বলেও জানান তিনি। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ প্রত্যেক পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে।
বরগুনা জেলা সিভিল সার্জন হুমায়ুন সাহিন পাথরঘাটার ক্ষতিগ্রস্থ্য এলাকা পরিদর্শন শেষে বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ্য এলাকা ঘুরে দেখলাম এক পরিবারের দাদী ও নাতী দুজনেই ঘরের নিচে চাপা পরে মারা গেছেন। আমি ওই পরিবারকে কিছুটা আর্থিক সহায়তা করে আসছি এবং তাদের পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেয়ার বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে এসেছি।