দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী সকালে বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে ‌

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০২:১৩ এএম, ৪ মে ২০১৯

ঘূর্ণিঝড় ফণী

ভারতের ওড়িশায় আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় ফণী আজ শনিবার সকালে বাংলাদেশ সীমানায় প্রবেশ করবে। শুক্রবার মধ্যরাতে আঘাত হানার কথা থাকলেও শনিবার ফনি বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। সর্বশেষ তথ্যে জানা গেছে এটি শনিবার সকাল ১১ থেকে বেলা ১২টার দিকে আঘাত হানতে পারে।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ।

তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়টি প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ২১ কিলোমিটার গতিতে অগ্রসর হচ্ছে। সাতক্ষীরার উত্তর দিকে নড়াইল, ঝিনাইদহ, চাঁপাইনবাগঞ্জ হয়ে ক্রমশ তা আরও উত্তর দিকে চলে যাবে। বাংলাদেশে এটি ৬ থেকে ১০ ঘণ্টা অবস্থান করবে।

পরিচালক আরো বলেন, এ সময় সারাদেশে থেমে থেমে বৃষ্টি ও বাতাস হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী একাধিকবার দিক পরিবর্তন করে অবশেষে শুক্রবার ভারতের ওড়িশায় আঘাত হানে। সেখানে এই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে প্রাণ তিনজনের প্রাণহানি ঘটে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় ভয়াবহতার তালিকায় চারে রেখেছিল আন্তর্জাতিক আবহাওয়া সংস্থাগুলো। যেটি ২০০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানবে বলেও সংস্থাগুলো জানিয়েছিল। ভারতের ওড়িশার উপকূলে আঘাত হেনে কলকাতা হয়ে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফণী।

তবে ওড়িশায় আঘাত হেনেই শক্তি হারাতে শুরু করেছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট এ ঘূর্ণিঝড়। কিন্তু ভয়াবহতা কমলেও গতি ও দিক পরিবর্তন হয়নি ফণীর। কলকাতা ঘেঁষে বাংলাদেশের খুলনার দিকেই আসছে এ ঘূর্ণিঝড়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, ভূমির ওপর দিয়ে ফণী আসার কারণে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা কম, তবে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। উৎপত্তি স্থল থেকে ঘূর্ণিঝড়টি এ পর্যন্ত ১ হাজার ৫০০ কিলোমিটার অতিক্রম করেছে।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের সতর্ক বার্তায় বলা হয়েছে, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত এবং কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারে মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড় ফণী কিছুটা দুর্বল হয়ে ভারতের উপকূলীয় ওড়িশায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শনিবার সকালের মধ্যে খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে। ফণীর প্রভাবে বাংলাদেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে এবং দেশের অনেক স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে।

মন্তব্য

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)