ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ পাথরঘাটার অর্ধশতাধীক ট্রলার এখনো নিরাপদে ফেরেনি
বঙ্গোপসাগর থেকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ কারনে গভীর সমুদ্র এবং উপকুল বর্তী এলাকায় ৪নম্বর সতর্ক সংকেত দেয়া হয়েছে। ঘূর্নিঝড় মোকাবেলা করতে উপকূলীয় অঞ্চল বরগুনার পাথরঘাটায় ব্যাপক প্রস্তুতি ও নেয় হয়েছে। তবে জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতির দাবি তাদের প্রায় অর্ধশতাধীক ট্রলার এখোনো নিরাপদে এসে পৌছতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে পাথরঘাটা নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
এদিকে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা, দুর্যোগ পূর্ববর্তী, দুর্যোগ কালীন ও পরবর্তী সময়ে খাদ্য সরবরাহ, মেডিকেল টিম গঠন, রেড ক্রিসেন্ট সদস্য ও কন্ট্রোল রুম খোলাসহ ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পাথরঘাটা উপজেলার পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসরাম রিপন।
পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আরও সামান্য উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ দক্ষিণপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমূদ্র বন্দরসমূহকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারী সংকেত দেখাতে বলেছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে যাতে স্বল্প সময়ের নোটিশে তারা নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারেন। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
বরগুনা জেলা মৎস্যজীবি ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী পাথরঘাটা নিউজকে জানান, বঙ্গোপসাগরে এখোনো প্রায় অর্ধশত মাছধরা ট্রলার সাগরে অবস্থান করছে। তাদের এখন পর্যন্ত মোবাইল নেটওয়ার্ক এর আওতায় পাওয়া যায়নি। আবহাওয়ার পূর্ব সংকেত না পেলে হয়ত কোন দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।