বরিশাল অঞ্চলের উপকূলে আঘাত হানতে পারে ফনী ৪ নাম্বার সংকেত
বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। তবে ঝড়টি ভারতীয় উপকূল হয়ে
আসতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা। এতে ঝড়ের শক্তি কিছুটা কমাতে পারে। তবে বাংলাদেশে
আসার সময় সাগর হয়ে আসার কারণে সেটি আবার শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে সাগর এখন বিক্ষুব্ধ রয়েছে। এ কারণে চার বন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে পাশাপাশি মাছ ধরা জেলেদের গভীর সাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান জানান, বিকালের পরে ঝড়টি ডান দিতে
মুভ করবে। ডান দিয়ে মানে এভ্রিলা, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলালেশের উপকূল দিকে অগ্রসর হবে। স্নারতের
উপকুল হয়ে, উপকূল ঘেয়ে তারপর বাংলাদেশের দিকে আসবে, সরাসরি বাংলাদেশে আসবে না।
তিনি আরও বলেন, এখন ঝড়টির যে শক্তি আছে তার তুলনায় কিছুটা কম গতিতে আসবে। কারণ যেহেতু
উপকুল হয়ে আসবে সেহেতু উপকূলে সংঘর্যের কারণে কিছুটা শক্তি হারাবে। কিন্তু ডানপাশে যেহেতু ঝড়ের
একটি অংশ সাগরে থাকবে সে কারণে একেবারে মরে যাবে না। সে হয়তাে ঘূর্ণিঝড় আকারে বাংলাদেশের।
(উপকুলে আসবে। এখন পর্যন্ত এটি অত্র প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলােখিটারের
মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বো গতিবেগ ঘন্টায় ১৩ কিলােমিটার যা দমকা অথবা ঝড়াে হওয়ার আকারে
১৮০ কিলােমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি। উপকুলের সাইক্লোন সেন্টারগুলাে রেডি রাখতে বলা হয়েছে।
ঝড়ের গতি বেশি হলে উপকূলবাসীকে সেন্টারের দিকে যেতে বলা হতে পারে।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত অতি
প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। ঝড়টি আজ দুপুরে
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ২৭৫ কিলােমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার।
১৯০ কিলােমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মােংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১ হাজার ৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং
পায়রা সবার থেকে ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পছিয়ে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘীভূত
হয়ে উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।