মঠবাড়িয়ায় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে অনার্স ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ।

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৮:৫১ এএম, ২৫ এপ্রিল ২০১৯

মঠবাড়িয়ায় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে অনার্স ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ।

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই কলেজ ছাত্রী প্রেমিককে বিয়ে করতে অস্বীকার করলে সে চেতনানাশক ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ধর্ষিতা ওই কলেজ ছাত্রী বাদী হয়ে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ও তার বোনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ অভিযুক্তের বোন বিলাসী বেগম (৩০)কে গ্রেফতার করেছে। বুধবার দুপুরে গ্রেফতারকৃত বিলাসী বেগমকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত প্রেমিক পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, মঠবাড়িয়া পৌর শহরের আরামবাগ গয়ালী পাড়ার বাসিন্দা ও পিরোজপুর সরকারী মহিলা কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর সাথে উপজেলার শিংগা গ্রামের আব্দুল খালেক ঘরামীর ছেলে পুলিশ সদস্য সাহেব আলী মোবাইলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সম্পর্কের এক পর্যায় ওই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে সাহেব আলী তার বোনের বাসা শহরের ৯নং ওয়ার্ডের নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় সাহেব আলীর বোন বিলাসী বেগম বাসার বাহিরে থেকে পাহারায় থেকে ভাইকে ধর্ষণে সহায়তা করার উল্লেখ রয়েছে মামলায়। ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী বিয়ের চাপ দিলে পুলিশ সদস্য সাহেব আলী নানা টালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায় ওই কলেজ ছাত্রীর সাথে সে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। সর্বশেষ গত সোমবার ভুক্তভোগী ওই কলেজ ছাত্রী বিয়ের দাবি নিয়ে অভিযুক্ত সাহেব আলীর শিংগা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। বিষয়টি জানাজানি হলে খবর পেয়ে পুলিশ ওই ছাত্রীকে থানায় নিয়ে আসে।
কলেজ ছাত্রীর চাচা জানান, প্রেমের সম্পর্ক গড়ে শারীরিক সম্পর্কের পর পুলিশ সদস্য সাহেব আলী প্রতারণা করেছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে লোকলজ্জায় তার ভাতিজি চেতনানাশক ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ আব্দুল্লাহ্ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রাথমিক ভাবে ঘটনায় জড়িত ২নং এজাহার নামীয় আসামি বিলাসী বেগমকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)