পটুয়াখালীতে একই পরিবারের ৩ জনের ইসলাম গ্রহণ!
ওয়াজ-মাহফিলে আল্লাহ ও তার রাসুলের কথা শুনে আকৃষ্ট হয়ে সপরিবারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন পটুয়াখালীর সনাতন ধর্মাবলম্বী এক পরিবার। পবিত্র শবে বরাতের মত একটি মঙ্গলময় দিনেই ইসলাম গ্রহণ করেছেন তারা।
রোববার দুপুরে পটুয়াখালীর ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিনের আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ধর্ম ও নাম পরিবর্তন করেন তারা।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলমান হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার টাউন বহাল গাছিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. ফুয়াদ হাসান (২৭), পূর্বে তার নাম ছিল শ্যামল চন্দ্র শীল। তার স্ত্রী জান্নাত আরা, পূর্বে তার নাম ছিল রীতা রানী। তাদের শিশুসন্তান মোহাম্মদ গণি (২)। পূর্বে তার নাম ছিল প্রিতম চন্দ্র শীল।
স্থানীয় ও আদালত সূত্রে জানা গেছে- রোববার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টাউন বহাল গাছিয়া এলাকার বাসিন্দা শ্যামল চন্দ্র ও তার স্ত্রী রীতা রানী তাদের শিশুসন্তানকে নিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে স্থানীয় মসজিদে যান। স্থানীয় গাজী বাড়ি বায়তুল মামুর জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মনোয়ার হোসাইনের মাধ্যমে কালেমা পাঠ করে মুসলিম হন তারা।
সদ্য মুসলমান হওয়া মো. ফুয়াদ হাসান বলেন, বিভিন্ন সময় ওয়াজ ও মাহফিলে আল্লাহ ও তার রাসুলের কথা শুনে ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হই। পরে সপরিবারে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে আগ্রহী হই আমরা। এতদিন ভুলপথে ছিলাম। এখন আল্লাহর পথে এসেছি। ইসলাম শান্তির ধর্ম। তাই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে মুসলমান হয়ে দুনিয়া ও আখেরাতে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে চাই।
পটুয়াখালীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আইনজীবী মো. শওকাত হোসেন মৃধা বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বী একই পরিবারের তিন সদস্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে দুইজনের আবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত। অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুটি তার পরিবারের সাথে ইসলাম ধর্মের অনুসারী হলে তাতে কোনো সমস্যা নেই বলে জানিয়েছেন বিচারক।
তারা সজ্ঞানে নিজেদের ইচ্ছায় ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে নাম ও ধর্ম পরিবর্তন করেছেন তারা।