পাথরঘাটায় মৎস্যজীবীদের ওপর ৬৫ দিনের অবরোধ প্রত্যাহারের দাবি(ভিডিও)
বঙ্গোপসাগরে জেলেদের ওপর ট্রলিং জাহাজের সাথে বাড়তি ৬৫ দিনের ইলিশ স্বীকারের অবরোধ প্রত্যাহারের দাবি করেছেন দক্ষিন উপকুলীয় জেলেরা।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকাল ১০টার সময় পাথরঘাটা পৌর শহরের শেখ রাসেল স্কযার চত্বরে মানববন্ধনে অংশ নেন, বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি, বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন, পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য আড়তদার সমিতি ও পাথরঘাটা বনিক সমিতিসহ মৎস্য ব্যবসার সাথে জড়িত কয়েক হাজার মানুষ।
মানববন্ধন শেষে সকল মৎস্যজীবী ও সংশ্লিষ্টদের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স¥রকলিপি দেয়া হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক দুলাল মিয়া, পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ালীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাড. জাবির হোসেন, জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার, পাথরঘাটা উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির, অ্যাড. আবদুর রহমান জুয়েল, রোকনুজ্জামান রুকু, আকন মো. সহিদ, আবুল হোসেন ফরাজী, পাথরঘাটা উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এনামুল হোসেন, কালমেঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আকন সহিদ, সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, বরগুনা জেলার প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ মাছ স্বীকারের উপর নির্বরশীল। জীবিকার তাগিদে তারা জীবন বাজি রেখে মাছ স্বীকার করতে সাগরে ছুটে যায়। আর এই জেলেরাই দেশের জিডিপিতে বড় ধরনের ভুমিকা পালন করে থাকে। প্রতি বছর ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা, জাটকা ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও সরকার ট্রলিং জাহাজের সাথে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ৬৫ দিন মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। যার কারণে পথে বসে যাবে হাজার হাজার জেলে ও ট্রলার মালিক এবং আড়তদাররা। এর ফলে এলাকার জেলেরা চুরি, ডাকাতি এবং বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়বে। তাই ৬৫ দিন অবরোধের প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি এবং তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। তা না হলে এই দক্ষিন উপকুলের জেলে সম্প্রদায় কঠোর কর্মসূচির ঘোষনা দিবে বলেও জানান।