পাথরঘাটা উপজেলার গুরুত্বপূর্ন পদগুলোতে নেই কর্মকর্তা!
অমল তালুকদার,পাথরঘাটাঃ
একধরনের ঢালনেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দারের ভূমিকায় চলছে পাথরঘাটা উপজেলার প্রায় ডজনখানেক অফিসের দাপ্তরিক কাজ। উপজেলা ভূমি অফিসার ইকবাল হোসেন পাথরঘাটা থেকে চলে যাওয়ার পর ওই অফিসের তাবৎ দায়িত্ব পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুমায়ুন কবিরের ঘারে বর্তিয়েছে। নিজ অফিস ম্যানেজ করে অন্যান্য শূন্য দপ্তর গুলোর কাজ করতে গিয়ে রিতিমত তিনি হাফিয়ে উঠেছেন বলে জানালেন।
দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পদটিও। ওই পদের কাজ সহ সকল দপ্তরের জরুরী কাজ একার সামাল দিতে গিয়ে নাভিশ্বাস উঠেছে ইউএনও হুমায়ুন কবির।
অভিযোগ আছে ভূমি অফিসসহ অনেক অফিসে কর্মকর্তা না থাকায় জুনিয়র কর্মকর্তারা কখনো আড়ালে কখনো প্রকাশ্যে ভিবিন্ন কর্মকান্ডে লিপ্ত হচ্ছে। ঘুষ-দুর্নীতি প্রকারভেদে বন্ধুপ্রীতি, রাজনৈতিক প্রভাব, প্রভাবশালী কোনো কোনো মহলের পেশীশক্তির দাপটসহ নানা অনিয়ম এখন নিয়মে পরিনত হয়েছে শুধুমাত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা না থাকার কারনে।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুমায়ুন কবির জানান, পাথরঘাটা উপজেলা ভূমি অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, উপজলা ইঞ্জিনিয়ার, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, মৎস্য কর্মকর্তা, যুবউন্নয়ন কর্মকর্তা, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসার এবং উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তাসহ ডজনের অধিক গুরুত্বপূর্ন দপ্তর শূন্য রয়েছে।
অপরদিকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্কমপ্লেক্স চলছে ডাক্তার ছাড়া জোড়াতালি দিয়ে। হাসপাতালের সাধারন রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার দিকে নজর না দিয়ে নগদ টাকার লোভে বাসায় প্রাইভেট প্রাকটিস ( রোগীদেখা) এর দিকে গুরুত্ব দেন চিকিৎকরা বেশী। এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মাত্র ৪ থেকে ৫ জন ডাক্তার দিয়ে বিশাল জনগোষ্ঠির চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে বলে জানাগেছে।
সরকার দেশের দক্ষিনের এই অবহেলিত উপজেলাটির শূন্য দপ্তরগুলো দ্রুত পুরন করে জনদুর্ভোগ কমাবেন বলে দাবী স্থানীয় ভুক্তভোগিদের।