পাথরঘাটায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ, মামলা নেয়নি পুলিশ
বরগুনার পাথরঘাটায় অষ্টম শ্রেণী পড়–য়া এক স্কুল শিক্ষার্থীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ মামলা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। কিশোরী ও তার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, উপজেলার হরিণঘাটা বনে বৃহস্পতিবার সকালে এ ঘটনায় তারা মামলা করতে চাইলে পাথরঘাটা থানার ওসি মামলা নেয়নি।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ১৩ বছর বয়সী মেয়েটিকে পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী।
ঘটনার বর্ণনায় সে জানায়, ছোটবেলায় তার বাবা মারা যাওয়ায় পর মা আবার বিয়ে করেন। তাই বড় ভাইয়ের কাছে থেকে পড়াশুনা করে সে। এক মাস আগে পাথরঘাটা উপজেলার পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের শাহজাহান প্যাদার ছেলে ফ্লেক্সিলোড ব্যবসায়ী জলিল প্যাদার সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে কথা হয়। পরে জলিল তার পরিচয় গোপন করে বেলাল পরিচয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ঘটনার পর পরিবারের লোকজনের মাধ্যমে জলিলের আসল পরিচয় জানতে পারে।
মেয়েটির দাবি, বৃহস্পতিবার সকালে জলিল তাকে বানর দেখানোর কথা বলে কৌশলে হরিণঘাটা বনে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এ সময় হরিনঘাটা এলাকার ট্রলার চালক আলতাফ হোসেন ঘটনাটি দেখে ফেলে। একপর্যায়ে আলতাফও তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে তাকে নিয়ে যায়।
এদিকে মেয়ের মা ও বড় ভাইয়ের অভিযোগ, এ ঘটনায় বিকালেই তারা পাথরঘাটা থানায় মামলা করতে যান। কিন্তু থানার ওসি হানিফ সিকদার মামলা নিতে রাজি হননি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তা অস্বীকার করে পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফ সিকদার বলেন,“মামলা করার জন্য কেউ থানায় আসেনি। বরং আমরা ঘটনাটি জানার পর তাদেরকে মামলা করতে বলেছি।
ঘটনার একদিন অতিবাহিত হলেও এখনো মামলা হয়নি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলা প্রক্রিয়াধীন।
এবিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল আহম্মেদ জানান, এ ঘটনায় জড়িতদের আটক করতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।