পাথরঘাটায় বাড়ি দখলে নিয়েও থেমে নেই, এখন হত্যার হুমকি (ভিডিও সহ)
বরগুনার পাথরঘাটায় আব্দুল্লাহ আল নোমান নামের এক ব্যাক্তির সাবেক স্ত্রী লায়লা আক্তার পপি এবং শ্বশুর ও সাবেক ইউপি সদস্য মহিউদ্দিন পান্নার বিরুদ্ধে।
বুধবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১১টার দিকে পাথরেঘাটা প্রেসক্লাবে লিখিত অভিযোগ করেছেন আব্দুল্লাহ আল নোমানের মা রেনু বেগম। উপজেলার নাচনাপারা ইউনিয়নের বাশতলা গ্রামের এঘটনা ঘটে।
লিখিত বক্তব্যে রেনু বেগম বলেন, আমার ছেলে ব্যাবসা করার কারণে প্রায়ই ঢাকায় অবস্থান করে। এই সুযোগে আমার ছেলের শ্বশুর মহিউদ্দিন পান্না প্রায় ৬ মাস আগে ঘরের কেচিগেটের তালা ভেঙ্গে প্রবেশ করে দখল করে নেয়। পরে আমরা আসলে আমাদেরকে মারধর করে। পরে আবার ঢাকা গেলে কয়েকদিন আগে আমার বাড়ির পাশের কিছুলোক ফোন দিয়ে বলে রাস্তার কাজের জন্য দেয়াল ভাংতে হবে। এই খবর শুনে আমি, আমার স্বামী আব্দুল খালেক খলিফা ও ছেলে আব্দুল্লাহ আল নোমান সকালে বাড়িতে এসে পৌছলে আগে থেকেই ওৎপেতে থাকা ছেলের শ্বশুর পান্না মেম্বর তার ছেলে আসফিসহ ৫ থেকে ৭জন লোক আমাদের উপরে অতর্কিত হামলা করে। তখন আমার ছেলেকে লোহার রড দিয়ে পিটায় এবং মাথায় ধারালো অস্ত্রদিয় কোপ দিয়ে গুরুতর যখম করে। এসময় আমার গলায় থাকা স্বর্নের চেইন ও ছেলের সাথে থাকা ২০হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আনোয়ার উল্যাহ প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে মাথার আঘাত গুরুতর হওয়ায় অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরন করেন।
তিনি আরো বলেন, পান্না আমাদের বাশতলা বাজারের ৩টি দোকানের ভিটি ও নির্বাচনের করার জন্য ১১লাখ টাকা নিয়েছে। তার পরেও আমার ছেলেকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে।
নোমানের সাবেক স্ত্রী লায়লা আক্তার পপি জানান, আমার বাবার ৬লাখ টাকা ও আমার ছেলের ভরন পোষনের খরচ দিলেই মিমাংসা হয়ে যাবে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সাবেক শ্বশুর মহিউদ্দিন পান্না বলেন, এটা ‘সম্পূর্ন মিথ্যা’ কথা। আমরা তাদেরকে মারধর করিনি। উল্টো আমাদেরকেই মারধর করার জন্য আমার জামাই নোমান ঢাকা থেকে মাস্তান নিয়ে এসেছে। তারা এসে আমাকে ও আমার ছেলেকে ‘মারধর’ করেছে।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হানিফ সিকদার জানান, নোমানের মা রেনু বেগম পাথরঘাটা থানায় মামলা করেছেন। বিবাদীরা বৃহস্পতিবার পাথরঘাটা আদালতে হাজির হলে মামলার ১নম্বর আসামী ছারা সকলেই হাজির হন। এসময় ৫ ও ৬ নম্বর আসামীকে জেল হাজতে প্রেরন করে অন্য সকলকে জামিন দিয়েছে আদালত। তিনি আরো জানান, নোমানের সাবেক স্ত্রী পপি কোর্টে বাদি হয়ে আদালতে একটি মামলা করেছে যার মধ্যে অসংখ্য অসংগতি রয়েরেছ।