তালতলীতে ভবন ধসে নিহত মানসুরার পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরন দাবীতে রিট
বরগুনার তালতলীতে স্কুল ভবন ধসে শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় ১ কোটি টাকা ক্ষপিূরন দাবী করে হাইকোর্টে রীট হয়েছে।
বরগুনার সন্তান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসান তারেক পলাশ রীট আবেদন করেছেন। আগামীকাল রীটের শুনানী হবে।
রীট আবেদনকারীর আইনজীবী হুমায়ুন কবির পল্লব জানিয়েছেন, শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, বরগুনার জেলা প্রশাসক, তালতলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, ছোটবগী পিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় ভবনটি নির্মাণকারী সেতু এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
আবেদনকারী হাসান তারেক পলাশ জানিয়েছেন, তিনটি দাবী নিয়ে রিটটি করা হয়েছে।
প্রথমত; শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সবার জন্য নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য জরীপ করে ঝুঁকিপূর্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করে ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে। সেইসাথে ঝঁকিপূর্ন ভবনগুলোকে পরিত্যক্ত ঘোষনা করতে হবে।
দ্বিতীয়ত; ভবন ধসে নিহত মানসুরার পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরন দিতে হবে।
তৃতীয়ত; ভবন ধসে আহত ৫ জন শিক্ষার্থীর চিকিৎসার দায়িত্ব সরকার তথা কর্তৃপক্ষকে গ্রহন করতে হবে। সেইসাথে আহত প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরন দিতে হবে। আগামীকাল বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাই কোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির শুনানি হতে পারে। বিদ্যালয় ভবনটি ২০০২ সালে নির্মাণ করা হয়েছে।
এদিকে মানসুরা নিহতের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন বরগুনা জেলা প্রশাসন।
বরগুনা জেলা প্রশাসক কবীর মাহমুদ জানিয়েছেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মাহবুব আলমকে প্রধান করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, তালতলীর ইউএনও, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে সদস্য করে কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরো জানিয়েছেন, নিহতের পরিবারকে প্রাথমিকভাবে ২০ হাজার টাকা দেয়া হয়েছে।
আমতলী থানার ওসি আবুল বাশার জানিয়েছেন, থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার পরে মানসুরার মরদেহ গেন্ডামারা গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রধান মাহবুব আলম জানিয়েছেন, তারা তদন্ত কাজ শুরু করেছেন। আগামীকাল সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবেন।
বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এমএম মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, বরিশাল বিভাগের শিক্ষা পরিচালকের সাথে আজ তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আহত শিক্ষার্থী রুমা, সাদিয়া ও ইসমাইল অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠছেন।
উল্লেখ্য, গতকাল বেলা সাড়ে বারোটার দিকে তালতলী উপজেলার ছোটবগী পিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভীম ধ্বসে তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী মানসুরা বেগম মারা গেছেন। এসময় আহত হয়েছেন, আরো ৫জন।