পাথরঘাটায় শশুরের বিরুদ্ধে জামাইকে হাতুড়ি দিয়ে মারধরের অভিযোগ
বরগুনার পাথরঘাটায় শশুর সাবেক ইউপি সদস্য মো. মহিউদ্দিন পান্নার বিরুদ্ধের জামাই মো. আব্দুল্লাহ আল নোমান (৩৪) ও তার ভাই হৃদয়কে (৩০) হাতুরি দিয়ে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় আহত আব্দুল্লাহ আল নোমান ও তার খালাত ভাই মো. হৃদয়কে পাথরঘাটা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
রোববার (৭ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে উপজেলার নাচনাপাড়া ইউনিয়নের বশতলা মানিকখালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অপর দিকে তার মেয়ে জামাই উল্টো ঢাকা থেকে মাস্তান ভাড়া করে নিয়ে এসে মারধর করেছেন বলে জানান মহিউদ্দিন পান্না।
আহত আব্দুল্লাহ আল নোমান ওই গ্রামের মো. আব্দুল খালেকের ছেলে ও হৃদয় ঢাকা জেলার মিরপুরের মো. নুর মোহাম্মাদের ছেলে।
আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, আমি ব্যাবসা করার কারনে প্রায়ই ঢাকা থাকি এ সুযোগে আমার শ্বশুর প্রায় ৬ মাস আগে আমার ঘরের তালা ভেঙ্গে ঘর দখল করে নেয়। কিছুদিন আগে আমাকে স্থানীয়রা ফোনে বলে রাস্তার কাজ চলতেছে তাই বাড়ির দেয়াল ভাংতে হবে। এই খবর পেয়ে আমি ঢাকা থেকে বাড়ি এসে ভোরে বাড়ির ভিতরে ডুকলে সাথে সাথেই আমার শ্বশুর ও তার ছেলে আসফিসহ ৫ থেকে ৭জন লোক অতর্কিত হামলা করে। এসময় তারা আমাকে ও আমার খালাত ভাই হৃদয়কে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা চেস্টা করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আমাদেরকে পাথরঘাটা হাসপাতারে নিয়ে আসে।
পাথরঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক আনোয়ার উল্যাহ বলেন, নোমান ও হৃদয় সকালে স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে এসে ভর্তি হয়েছে। তাদের মাথায় ও হাতে খুবই গুরুতর যখম রয়েছে। তাদেরকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত মহিউদ্দিন পান্না বলেন, এটা সম্পূর্ন মিথ্যা আমরা তাদেরকে মারধর করিনি, উল্টো নোমান ঢাকা থেকে মাস্তান নিয়ে এসেছে আমাদেরকে মারধর করার জন্য। তারা এসে আমাকে ও আমার ছেলেকে মারধর করেছে।
এবিষয়ে পাথরঘাটা থানায় গিয়ে ও মুঠোফোনে একাধীকবার যোগাযোগের চেস্টা করেও ওসিকে ফোন ধরেননি।