এক উদিয়মান নেতার হঠাৎ থেমে যাওয়া: “থেমে যাওয়া মানে হেরে যাওয়া নয়”!
তৃণমূলের ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে আসা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান রফিকুল ইসলাম রিপন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে পাকহানাদার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শহীদ হওয়া শাহজাহান মিয়ার গর্বিত সন্তান তিনি।
১৯৯০ সালের দিকে পাথরঘাটা মহাবিদ্যালয় ছাত্র লীগের সভাপতি পদে দায়িত্ব গ্রহণ দিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দায়িত্ব ভার। এরপরে দীর্ঘদিন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে শুরু করেছেন রফিকুল ইসলাম রিপন।
পরবর্তীতে পাথরঘাটা উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পরপরই শুরু হয় জনপ্রিয়তার অগ্রযাত্রা। নির্বাচিত হন জন্মভূমি নাচনাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে। দিনদিন বেরে যায় জনপ্রিয়তা।
২০১৪ সাল। শুরু হয় ৪র্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আমেজ। আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হন পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে। সদা হাস্যোজ্জ্বল ও প্রাণবন্তভাবে পালন করতে শুরু করেন দায়িত্বভার। এক পর্যায়ে ক্যারিয়ার গড়িয়েছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। পরিচিত হয়ে উঠেন জননন্দিত নেতা হিসেবে। পাথরঘাটা উপজেলা বাসীর সুখে দুঃখের আশ্রয়স্থল হিসেবে চলছে দায়িত্ব পালন।
মানুষত্বের গুনাবলির কারণে কিছু দোষত্রুটি নিয়ে প্রসাশনিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক কার্যক্রম সবার সামনে থেকেই চালিয়ে যাচ্ছে সকলের পরামর্শ নিয়ে। এসে যায় ৫ম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল।
শুরু হয় রফিকুল ইসলাম রিপনে নতুন করে নিজেকে সাজিয়ে তোলার কার্যক্রম। শুরু দলীয় মনোনয়ন পেতে সাংগঠনিক লোভিং। হার না মানা রিপন হেরে যায় প্রান প্রিয় দলের মনোনয়ন পাওয়ার মিছিলে। তবুও হাল না ছেড়ে ভোট যুদ্ধে নিজেকে প্রমাণ করতে এগিয়ে যান। সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমও সমাপ্ত করে মার্কাও নির্ধারণ করেন রফিকুল ইসলাম রিপন।
পরবর্তীতে দলীয় সিদ্ধান্তে নিজের প্রাণপ্রিয় দলের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে নিজেকে গুটিয়ে নেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে। সরে দাঁড়ালেন সতন্ত্র প্রার্থী থেকে। দেখা দিলো নির্বাচনের উপর উপজেলা বাসীর অনাস্থা। নিজের যোগ্যতাকে অযোগ্য করে দিয়ে হারিয়ে দিলেন পাথরঘাটা উপজেলা বাসীকে।
তাইতো কবির ভাষায় “হেরে যাওয়া মানে থেমে যাওয়া নয়”।
আবারও নতুন করে নিজেকে উৎসর্গ করবেন এমনটাই মনে করছেন পাথরঘাটা উপজেলার জনগণ। দলের প্রতি যে গভীর ভালোবাসা দেখিয়ে নিজের জনপ্রিয়তাকে ভুলে গেছেন, সেই দল থেকেই আবার ডাক আসবে এমনটাই প্রত্যাশা পাথরঘাটা বাসীর। নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানদের সঙ্গে মতবিনিময়ের করে নিজের অভিজ্ঞতা থেকে পরামর্শ দিয়ে পাথরঘাটা উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা উপহার দিয়ে নিজের যোগ্যতাকে আবারো প্রমাণ করতে হবে আপনাকে। আপনার শূন্যতার পুরন আপনাকেই করতে হবে।