মঠবাড়িয়ায় ধর্ষণের শিকার কিশোরীর অবৈধ গর্ভপাত করাতে গিয়ে মৃত্যুর সাথে লড়ছে হাসপাতালে
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার দক্ষিণ বড়মাছুয়ায় গ্রামের লম্পট চাচা রাসেল হাওলাদারের (২২) ধর্ষণের শিকার হয়ে ১৪ বছর রয়সী এক কিশোরী অবৈধ গর্ভপাত করাতে গিয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে মৃত্যুর মুখোমুখি। বৃহস্পতিবার বিকেলে অসুস্থ্য কিশোরীর স্বজনরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাতেই বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেন। এ ঘটনার পর থেকে লম্পট রাসেল পলাতক রয়েছে।
ওই কিশোরীর মা জানান, গত পাঁচ মাস আগে এক দিন রাতে কিশোরী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাহিরে গেলে ওৎ পেতে থাকা প্রতিবেশী দুলাল হাওলাদারের পুত্র রাসেল হাওলাদার ভয় দেখিয়ে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে। এ সময় রাসেল এঘটনা কারো কাছে না জানাতে কিশোরীকে শাষিয়ে দেয়। সম্প্রতি ওই কিশোরীর শারীরিক পরিবর্তন হলে তার মা গত ১১ মার্চ পৌর শহরের একটি বে-সরকারি হাতপাতালে চিকিৎসা করাতে গেলে ডাক্তার জানান, তার মেয়ে অন্তঃস্বত্তা। পরে অন্য একটি ক্লিনিকে নিয়ে অপারেশন করার চেষ্টা চালায়। কিন্তু ওই ক্লিনিকের ডাক্তার অপারেশন করতে রাজি না হওয়ায় ওই কিশোরীকে নিয়ে বাড়িতে চলে যান। ১৩ মার্চ বুধবার সন্ধার দিকে ধর্ষক রাসেলের পিতা দুলাল হাওলাদার ওই কিশোরীকে জোর পূর্বক ওই কিশোরীকে ও তার মাকে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। বাড়িতে কোন লোক না থাকার কারণে তার মেয়েকে হাসপাতালে রেখে তিনি ওই রাতেই বাড়ি চলে যান।
এদিকে বুধবারই গভীর রাতে ধর্ষক রাসেলের মামী রুবী আক্তার কলি (৪৫) ওই কিশোরীকে কৌশলে হাসপাতাল থেকে বের করে অজ্ঞাত ক্লিনিকে নিয়ে গর্ভপাত করিয়ে পুণরায় হাসপাতালের বেডে নিয়ে আসেন। অসুস্থ কিশোরী দুদিন চিকিৎসা নেয়ার পরে শুক্রবার ছাড়পত্র ছাড়াই ভয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে চলে যায়।
বাড়িতে নেয়ার পর ওই কিশেরী পুণরায় অসুস্থ্য হয়ে পরলে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বজনরা আবারও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাতেই বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্ত ডা. আলী আহসান জানান, ওই কিশোরীর অবৈধ গর্ভপাত করাতে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার জীবন সংকটাপন্ন।
মঠবাড়িয়া থানার ওসি (তদন্ত) মাজহারুল আমিন (বিপিএম) জানান, ঘটনাটি মৌখিকভাবে শুনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।