লোডশেডিং সামাল দিতে পারছে না, পাথরঘাটায় পল্লীবিদ্যুতে জনবল সংকট
বরগুনার পাথরঘাটায় বিদ্যুতের ঘনঘন আসা যাওয়ায় ক্ষুব্ধ উপজেলাবাসী। অপর দিকে অতিষ্ট মানুষ গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতিনিয়ত ফোন দিয়ে জানতে চাচ্ছেন এ পরিস্থিতির কারণ। তারা জানতে চান, এই দূর অবস্থা থেকে কবে নাগাদ মুক্তি পেতে পারেন। শহর এলাকায় লোডশেডিং-এর হার কম হলেও গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরো ভয়াবহ রুপ নিয়েছে।
পল্লীবিদ্যুতের পাথরঘাটা স্টেশন সুত্রে জানা গেছে, পাথরঘাটা উপজেলায় মোট গ্রহক আছে প্রায় ৩০ হাজার। আবার নতুন করেও বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া হচ্ছে। তারা এও জানান, পাথরঘাটায় প্রতিদিন বিদ্যুতের যে পরিমান চাহিদা তা পুরন করা সম্বব।
তাছারা পল্লীবিদ্যুতের পাথরঘাটা স্টেশনে যে পরিমান জনবল তাতে সকল কিছু সামাল দিতে পারছে না। লাইনম্যান থাকার কথা ১০ জন সেখানে আছে ৭জন। যাতায়াতের জন্য মোটর সাইকেলা থাকার কথা ৩টি আছে ২টি।
পাথরঘাটা পৌরশহরের তাসলিমা মেমরিয়াল একাডেমীর শিশু শ্রেনীর শিক্ষার্থী রাইফা ইসলাম, আফিয়া জানান, সন্ধার সময় কারেন্ট না থাকার কারনে পরতে পারিনা।
পৌরশহরের ব্যাবসায়ী মিন্টুখান, সৌরভ জানান, কোনো ধরনের পূর্ব নির্দেশনা ছাড়া এভাবে হঠাৎ বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়ায় বড় ধরনের অসুবিধায় পড়েছি ব্যাবসায়ীরা। একবার বিদ্যুৎ গেলে আর আসার খবর নেই। গত ৩ মাস ধরেই এরকমই চলছে। বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া নিয়ে বিশেষ করে সন্ধ্যা বা রাতে ছেলেমেয়েদের পড়ালেখায় মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা স্টেশনের কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, যারা বিদ্যুতের ঠিকাদার তাদের কারনে আমাদের কারেন্ট বন্ধ করে রাখতে হয়। তারা মঠবাড়ীয়া থেকে বন্ধ করে রাখে যার জন্য আমাদের করার কিছু থাকে না। আবার যে পরিমান আমাদের জনবল থাকার কথা তা না থাকার কারনেও সমস্যা হচ্ছে। আমরা চনবলের চাহিদা উপরোক্ত কর্মকর্তাদের কাছে প্রেরন করেছি এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষে নে নাই। আমাদের অফিসে জনবলের সংকট নিরসন হলেও লোডসেডিং কিছুটা লাগব হবে। যতদ্রুত সম্ভব বর্তমান মাসের মধ্যেই সকল সমস্যার সমাধান হবে। পাথরঘাটায় যদি জোনাল অফিস করা হত তবে এরকম দুর্ভোগ কম হত।