উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পাথরঘাটায় মুখোমুখি অবস্থানে আওয়ামীলীগ
আসন্ন ৫ম উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাই পরস্পর পরস্পরের মুখোমুখি দাঁড়াচ্ছেন। ইসলামী আন্দোলন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, বিএনপির ২০ দলীয় জোটসহ অন্য কোন দল থেকে এ নির্বাচনে অংশ নিতে দেখা যায়নি। ফলে নির্বাচনে দলীয় এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বর্তমান শাসক দল আওয়ামী লীগের নেতা। উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, সংবক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সব ক্ষেত্রে একই অবস্থা।
কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছেন না। প্রার্থিতা বা ভোটে জয় নিশ্চিত করতে গিয়ে নেতাকর্মীরা নিজেদের মধ্যে সংঘাতে জড়িয়ে পরছে অনেক সময়। নৌকা প্রতীকের সমর্থকদের হাতে একই দলের প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী আনারসের সমর্থকদের মারধরের অভিযোগও করেছেন। কেউ কাউকে ছার দিতে চাচ্ছে না। এ যেন মুখোমুখি অবস্থানে আওয়ামীলীগ।
পাথরঘাটা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে পাথরঘাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোস্তফা গোলাম কবির আনারস প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে আছেন। তাছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদেও একই দলের।
তারা একই দলের নেতা বলে কেউ কাউকে ছাড় দিচ্ছেন না। এ নির্বাচনে নিজেদের জয় নিশ্চত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছেন। এতে কে বাদ পড়ছেন বা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সেদিকে কেউ খেয়াল করছেন না। উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মুখোমুখি হবে আওয়ামী লীগ।
আনারস প্রতীকের প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক মোস্তফা গোলাম কবির বলেন, দল থেকে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে আমি বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিরেছি। আমিওতো বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। সে (আলমগীর হোসেন) যদি বঙ্গবন্ধুর ছবি ছিরতে না পারে আমি কিভাবে ছিরব? এরকম অভিযোগ দিয়ে আমার উপরে চাপ প্রয়োগ করতে চায়। মানুষ এখন সবই বুজে! আমি আওযামীলীগের রাজনীতির আদর্শে বিশ্বাসী। আমি দলীয় কি শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছি তা আমার জানা নেই। উল্টো আমার পোস্টার ও হ্যান্ডবিল ছিড়েছে এবং আমার ৩জন মাইক প্রচারককে মারধরও করেছে নৌকার প্রতীকের প্রার্থী আলমগীর হোসেনের লোকজন। আমার দলীয় কর্মীদেরকে ভিবিন্ন ভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে আমার প্রতিপক্ষ। এখন আমি এক প্রকার জিম্মি অবস্থায় আছি। আমার লোকজন নিয়ে ঘর থেকে বের হতে পারিনা।
এবিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলায় আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন জানান, কবিরের বংশে কোন ব্যাক্তি আওয়ামীলীগ করেনাই সবাই বিএনপি জামাতের সাথে আছে। কবির দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সতন্ত্র ভাবে নৌকা প্রতীকে বিরুদ্ধে নির্বাচনে নেমেছে। সে বঙ্গবন্ধুর পোস্টার ছিরে ফেলেছে। তাই দল তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিয়ে বহিস্কার করেছে।