মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আগামী ৩১ মার্চ অনুষ্ঠতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরে মঠবাড়িয়ায় নির্বাচনকে ঘিরে দাঙ্গা হাঙ্গামায় নির্বাচনী শান্তি শৃংখলা বিঘিন্ত হওয়ার কারনে আজ বৃহস্পতিবার বিকালে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সাময়িক স্থগিতাদেশ দেয়। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২) আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এক স্মারকে (স্বারক নং ১৭.০০.০০০০.০৭৯.৪০.০২৪.১৯-২৯২) এ নির্দেশ দেয়া হয়। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পিরোজপুরর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক ও রিটানিং অফিসার বরাবর ওই পত্র পাঠানো হয়েছে। ] ওই স্থগিতাদেশ প্রত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায় ৪র্থ ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বিদ্যমান পরিস্থিতি আগামী ৩১ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সসস্যা সৃষ্টি হওয়ায় সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচন ন্যায় সঙ্গত ও সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষে পরবর্তি নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত রাখার জন্য মাননীয় নির্বাচন কমিশন আদেশ প্রদান করেছেন। মঠবাড়িয়া উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আখলাকুর রহমান স্থগিতাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও জানান এ মর্মে দপ্তরে সন্ধ্যা সাটটার দিকে স্থগিতাদেশ পত্র পৌঁছেছে। এদিকে নির্বাচনী প্রচারণার শেষ মূহুর্তে এসে নির্বাচন স্থগিদেশের খবওে জনমনে নানা বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনী প্রচার প্রচারণাও থমকে গেছে। উল্লেখ্য, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করার জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আবেদন করেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হোসাইন মোশারেফ সাকু, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শাকিল আহমেদ নওরোজ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদা আক্তার বেবী। আবেদনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হোসাইন মোসারেফ সাকু উল্লেখ করেছেন, গত ২৩ মার্চ রাত সাড়ে দশটার দিকে হলতা গুলিসাখালী ইউনিয়নের গুলিসাখালী বাজারে তার (সাকু’র) নির্বাচনী পথসভা শেষে ফেরার পথে স্বতন্ত্র প্রার্থীও সমর্থকরা বিনা উস্কানীতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার (সাকু’র) ও তার সহযোগীদের উপর হামলা চালায়। এতে হোসাইন মোসারেফ সাকু, ১০ হলতা গুলিশাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম ঝনোসহ ২০ জন আহত হয়। ৫ জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এ বিষয়ে প্রশাসন পদক্ষেপ নিতে বিলম্ব করায় ২৩ মার্চের ঘটনার রেশ ধরে ২৫ মার্চ সকালে গুলিসাখালী বাজারে দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়লে জনি তালুকদার আহত হয়ে বরিশাল নেয়ার পথে মারা যায়। সাকু তার আবেদনে আরও উল্লেখ করেন বর্তমানে মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাচনী পরিবেশ ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ নিয়ে সাধারণ মানুয়ের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে আবারও মঠবাড়িয়ায় সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে এর দায় স্থানীয় প্রশাসনের উপর বর্তাবে। এ কারণে সাধারন মানুষের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে নির্বার্চিন স্থগিত রাখা অতীব জরুরী বলে আবেদনে উল্লেখ করেন।