মঠবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের লোকেরা কুপিয়ে হত্যা করেছে জনি,কে (ভিডিও)
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নির্বাচনী সহিংসতার জের ধরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর(আনারস) সমর্থক জনি তালুকদার(২৫) নামে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ সমর্থক ন্ত্রাসীরা। আজ সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে গ্রামের বাড়ি থেকে ইউনিয়ন বাজারে যাওয়ার পথে নির্বাচনী পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একদল সন্ত্রাসী তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে মাঠে ফেলে রাখে। পরে বরিশাল নেওয়ার পথে আহত স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতার নেতার মৃত্যু ঘটে।
নিহত জনি তালুকদার উপজেলার গুলিসাখালী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি ছিলেন। সে স্থানীয় কবুতরখালী গ্রামের অবসর প্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মৃত হাতেম আলী তালুকদারের ছেলে । নিহত জনির জান্নাতি ইসলাম জুঁই নামে তিন বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
স্থানীয়দের সূত্রে জানাগেছে, আগামী ৩১ মার্চ মঠবাড়িয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আ.লীগ প্রার্থী নৌকা ও আ.লীগ বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র)প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে মনোনয়ন জমাদান থেকে নানা নির্বাচনী হাঙ্গামা চলে আসছিল। শনিবার দিনগত রাতে গুলিসাখালী ইউনিয়ন বাজারে স্বতন্ত্র সমর্থক ইউপি আলাউদ্দিনের ওপর হামলা চালায় নৌকার সমর্থকরা। এর জের ধরে স্বতন্ত্র(আনারস) প্রতিকের সমর্থকরা ধারলো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৌকার প্রার্থী হোসাইন মোশররফ ও তার সমর্থক গুলিসাখালী ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলমসহ ২০জনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ ঘটনার পর আ.লীগের বিবদমান দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়।
এ নির্বাচনী পূর্ব সহিংসতার ঘটনার জের আজ সোমবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে স্বতন্ত্র(আানারস)প্রার্থীর সমর্থক ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ সভাপতি জনি তালুকদার কবুতরখালী গ্রামের বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার পথে ১৫/২০জন প্রতিপক্ষ সমর্থকরা তাকে ধাওয়া করে মাঠের মধ্যে ফেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলাপাতারি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল হতে আহত ওই স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে উদ্ধার করে প্রথমে মঠবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে দুপুরে তাকে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে নেওয়ার পথে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
এ ঘটনায় নিহত স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জনির পরিবারে শোকের মাতোম চলছে।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শওকত আনোয়ার জানান, এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত পরিবারের পক্ষ হতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এদিকে সহিংসতা এড়াতে মঠবাড়িয়ায় পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে।