উপজেলা পরিষদ নির্বাচন মঠবাড়িয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় যুবলীগ নেতাসহ আহত ৪
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় নির্বাচনী পূর্ব শত্রুতার জের ধরে নৌকা সমর্থক যুবলীগ নেতাসহ একই পরিবারের চার জনকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষ স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা।
শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় প্রতিপক্ষরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে নৌকা সমর্থক স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মো. রাসেল মিয়া (২৫) ও তার বাবা গফ্ফার আকনকে (৫০) কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এতে বাঁধা দিতে এলে যুবলীগ নেতা রাসেল এর চাচী মিনারা বেগম (৪৫) ও চাচাত বোন আকলিমা বেগম (২২) কে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
আহতদের ওই দিন রাতেই উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। ৷ এবং যুবলীগ নেতা রাসেল ও তার বাবা গফ্ফার আকনের অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেও তাদের অবস্থার অবনতি ঘটলে আহতদের ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আহত যুবলীগ নেতা রাসেল এর মা মিনারা বেগম বাদি হয়ে প্রতিপক্ষ সোহাগ শরীফকে প্রধান আসামী করে নামীয় ২০জন ও অজ্ঞাত আরও ১৫জনকে আসামী করে শনিবার (২৩ মার্চ) বিকালে মঠবাড়িয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার গোলবুনীয় গ্রামের ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি নৌকা সমর্থক মো. রাসেল আকন ও প্রতিপক্ষ আ.লীগ বিদ্রোহী ( স্বতন্ত্র) আনাসর সমর্থক সোহাগ শরীফ এর সাথে সদ্য সমাপ্ত সংসদ নির্বাচন নিয়ে পূর্ব বিরোধ ছিল। এ রাজনৈতিক বিরোধকে কেন্দ্র করে চলমান উপজেলা নির্বাচনে নতুন করে বিরোধের সৃষ্টি হয়। নৌকা সমর্থক মো. রাসেল আকন ও প্রতিপক্ষ আ.লীগ বিদ্রোহী( স্বতন্ত্র) আনাসর সমর্থক সোহাগ শরীফের মধ্যে বিরোধ বাঁধে। এর জের ধরে স্বতন্ত্র আনারস সমর্থক সোহাগ শরীফের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০জন মিলে শুক্রবার সন্ধ্যা দিকে যুবলীগ নেতা রাসেল ও তার পরিবারের ওপর হামলা চালিয়ে চারজনকে গুরুতর জখম করে।
হামলায় আহত মিনারা বেগম জানান, গত বৃহস্পতিবার তার স্বামীর বড় ভাইয়ের ছেলে রাসেলের নেতৃত্বে নৌকা মার্কার প্রার্থীর পক্ষে একটি মিছিলসহ পথসভায় যোগ দেয়। এতে স্বতন্ত্র (আ‘লীগ বিদ্রোহী) প্রার্থীর সমর্থক সোহাগ শরীফ, জাহিদ শরীফ, মানিক ও জামাল আকনসহ ১৫ থেকে ২০ জন লোক ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বসত বাড়িতে ধারালো অস্ত্রসহ প্রবেশ করে কুপিয়ে দুইজনকে গুরুতর জখম করে। এসময় বাঁধা দিলে ওই সন্ত্রাসীরা বৃদ্ধা মিনারা বেগম ও তার মেয়ে আকলিমাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে।
এ বিষয়ে মঠবাড়িয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শওকত আনোয়ার জানান, এ ঘটনায় আহত যুবলীগ নেতার মা বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সহকারী পুলিশ সুপার (মঠবাড়িয়া-ভান্ডারিয়া সার্কেল) মো. হাসান মোস্তফা স্বপন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সাংবাদিকদের জানান, রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরে এ সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। হামলার ঘটনা তদন্ত করে প্রকৃত দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।