পাথরঘাটায় লোডশেডিংয়ে চরম দুভোর্গে মানুষ
বরগুনার পাথরঘাটায় বেড়েই চলেছে লোডশেডিং মাত্রা। গত এক মাস ধরে লোডশেডিংয়ের যন্ত্রণায় ভোগান্তি চরমে উঠে গেছে। ফাল্গুন মাসের শুরু থেকে গরমের সঙ্গে লোডশেডিংয়ের মাত্রা বাড়িয়ে দিচ্ছে কয়েকগুণ। কোন নোটিশ ছারাই বিদ্যুৎ দিনে যায় আবার রাতে আসে। আবার রাতে আসলেও অসংখ্য বার লোডশেডিং হচ্ছে। লোডশেডিং আর হঠাত ভ্যাপসা গরমে সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় রয়েছে বৃদ্ধ ও শিশুরা। তাছারা গরম আর লোডশেডিং এ দুইয়ে মিলে পড়াশোনার মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগ করেও পাওয়া যাচ্ছে না সঠিক কোন সদুত্তোর। বিদ্যুতের ঘনঘন আসা যাওয়ায় ক্ষুব্ধ উপজেলাবাসী। এ দিকে অতিষ্ট মানুষ গণমাধ্যমকর্মীদের ফোন দিয়ে জানতে চাচ্ছেন এ পরিস্থিতির কারণ। এই দূর অবস্থা থেকে কবে নাগাদ মুক্তি পেতে পারেন। শহর এলাকায় লোডশেডিং-এর হার কম হলেও গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরো ভয়াবহ। বিদ্যুতের পাথরঘাটা স্টেশন সুত্রে জানা গেছে, পাথরঘাটা উপজেলায় মোট গ্রহক আছে প্রায় ৩০ হাজার। আবার নতুন করেও বিদ্যুতের সংযোগ দেয়া হচ্ছে। পাথরঘাটায় প্রতিদিন বিদ্যুতের যে পরিমান চাহিদা তা পুরন করা সম্বব। এছারা বিদ্যুতের পাথরঘাটা স্টেশনে যে পরিমান জনবল তাতে সকল কিছু সামাল দিতে পারছে না। লাইনম্যান থাকার কথা ১০ জন সেখানে আছে ৭জন। যাতায়াতের জন্য মোটর সাইকেলা থাকার কথা ৩টি আছে ২টি। পাথরঘাটা পৌরশহরের ব্যাবসায়ী জাকির হোসেন, শফিকুল ইসলাম, মঞ্জুরুল আলম জানান, কোনো ধরনের পূর্ব নির্দেশনা ছাড়া এভাবে হঠাৎ বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেয়ায় বড় ধরনের অসুবিধায় পড়েছি। একবার বিদ্যুৎ গেলে আর আসার খবর নেই। গত এক মাস ধরেই এরকমই চলছে। বিদ্যুৎ আসলে এক থেকে দুই ঘণ্টা। তবে আসার কিছুক্ষণ পরেই আবার চলেও যাচ্ছে, দুই-এক ঘণ্টা আসার খবর নেই। বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া নিয়ে বিশেষ করে সন্ধ্যা বা রাতে ছেলেমেয়েদের পড়ালেখায় মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। এ ব্যাপারে পাথরঘাটা স্টেশনের কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির জানান, পাথরঘাটায় বিদ্যুতের নতুন সংযোগের কাজ চলছে। যার জন্য ঠিকাদাররা বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে সেই সকল লাইনের কাজ করছে যার জন্য লোডশেডিং হচ্ছে। যতদ্রুত সম্ভব লোডশেডিং সমস্যা সমাধানে চেষ্টা করা হচ্ছে। বর্তমান মাসের মধ্যেই সকল সমস্যার সমাধান হবে। পাথরঘাটায় যদি জোনাল অফিস করা হত তবে এরকম দুর্ভোগ কম হত।