১৬লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি বঙ্গোপসাগরে ডাকাতি, ৪ ট্রলারসহ ১৬ জেলে অপহরন
বঙ্গোপসাগর জেলে বহরে একটি জলদস্যু বাহিনী ৪ট্রলারসহ ১৬ জেলেকে অপহরন করে নিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। রোববার (১৭ মার্চ) সকাল ৮টার দিকে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবি ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরীরর কাছে ফিরে আসা জেলেরা এ অভিযোগ করেন।
এর আগে গত শুক্রবার (১৪ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে চট্টগ্রামের জাহাজের খারি নামক স্থানে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জলদস্যু বাহিনীর নাম জানা যায়নি। এ সময় জলদস্যুরা জেলেদের মারধর করে বরগুনা পাথরঘাটার এফবি মা, ভোলা জেলার এফবি হিমা, চট্টগ্রাম জেলার বাশঁখালীর এফবি কহিনুর ও এফবি জান্নতুল ফেরদৌস ট্রলার নিয়ে যায় তারা।
অপহৃত জেলেরা হলো, বরগুনা জেলার পাথরঘাটার এফবি মা ট্রলারের আব্দুর রহিম মাঝি, ফারুক, বেল্লাল ও কুডি মিরা এবং ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার এফবি ট্রলারের মো. জাকের মাঝি। অপর ১১ জেলের নাম জানা যায়নি।
এফবি মা ট্রলারের ফিরে আসা জেলে জাহিদ, কালাম সিকদার, রাজু, হাসান, কামালের বরাত দিয়ে বরগুনা জেলার মৎস্যজীবি ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, গত শুক্রবার সকালে বঙ্গোপসাগরের জাহাজ খারী এলাকায় জেলেরা জালফেলে অপেক্ষা করতেছিল। এমন সময় সকাল ১০টার দিকে হঠাত ২০ থেকে ২৫জনের একটি বাহিনী অগ্নেয়াস্ত্র পাইপগান, কাটারাইফেল নিয়ে জেলে বহরের উপরে হামলা করে। পরে বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জের মনিরের মালিকানাধীন এফবি মনির ট্রলারে রাত ১২টার দিকে জেলেদের উঠিয়ে দিয়ে মুক্তিপনের দাবিতে মাঝি ও ৪ট্রলারসহ ১৬ জেলেকে অপহরন করে নিয়ে যায়। পরে ফিরে আসা জেলেরা রোববার সকাল ৭টার দিকে কক্সবাজারে পৌছায়। তারা বর্তমানে কক্সবাজারের ফিসারী ঘাটের মাছুম অড়ৎদারের হেফাজতে আছে। পরে রোববার (১৭ মার্চ) সকালে মুঠোফোন (০১৮৬৮৭৯২১১৯, ০১৬৯০১২৮৭৫৯) নাম্বার থেকে ১৬লাক টাকা মুক্তিপন দাবি করে জলদস্যু বাহীনি। তবে বাহীনির নাম জানাননি তারা।
র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব-৭) এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর মেহেদী মুঠোফোনে জানান, খবর শোনার সাথে সাথে আমাদের দল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। অপহৃত জেলে ও ট্রলার উদ্ধারের চেস্টা অভ্যাহত আছে।