পাথরঘাটায় ইউপি ভুমি অফিসে হামলা ও ভাংচুর

ডেস্ক নিউজ
ডেস্ক নিউজ,
প্রকাশিত: ০৭:৪৬ এএম, ১৫ মার্চ ২০১৯ | আপডেট: ০৫:০৭ পিএম, ১৫ মার্চ ২০১৯

পাথরঘাটায় ইউপি ভুমি অফিসে হামলা ও ভাংচুরবরগুনা পাথরঘাটায় ভুমি অফিসে হামলা চালান হয়। এসময় একটি মটরসাইকেল ও বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করে এবং ভুমি কর্মকর্তা কর্মচারিদের মারধর করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দুপুর ২ টার দিকে রায়হানপুর ইউনিয়ন লেমুয়া বাজারের এ ঘটনা ঘটে।

ভাংচুরের খবর পেয়ে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির ঘটনা স্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এ ব্যপারে রায়হানপুর ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা মো: জসিম উদ্দিন বলেন, নদী রক্ষা কমিশন চেয়ারম্যানের নিদের্শে সারাদেশে অবৈধ দখলদারদের তালিকা প্রস্তুত করায় রায়হানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রুপকের হেমন্তপুর বাজার ও কাকচিড়া বাজারে পজিসন বানিজ্য বাঁধা গ্রস্থ হওয়ায় চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে এ হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। দুপুর ১ টার দিকে চেয়ারম্যান তার বাহিনী নিয়ে এসে আমার অফিসের কর্মচারিদের মারধর করে আসবাব পত্র, স্টিলের আলমারি ভেঙ্গে নগত টাকা ও গুরুত্বপুর্ন কাগজ পত্র নিয়ে যায়। এমনকি আমার মটরসাইকেলটি ভাংচুর করে তারা। পরে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে ফোনে জানালে তাৎখনিক তিনি এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে পাথরঘাটায় নিয়ে যায়। আহত কর্মচারিদের পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে রায়হানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রুপক বলেন, ভুমি অফিসের কর্মকর্তা অতিরিক্ত ফি আদায় করেন এলাকাবাসীর এমন অভিযোগ। এ বিষয় নিয়ে ভুমি কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করলে উল্টো আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের ভুমি অফিসের কক্ষ ভাংচুর করে আমাদেরকে ফাসানোর চেষ্টা করছে। আমরা ভাংচুর করিনি।

এ ব্যপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, আমি ফোন পেয়ে ঘটনা স্থলে এসে ভাংচুরের আলামত পেয়েছি। ভুমি অফিসের কর্মকর্তাদের উদ্ধার করে পাথরঘাটায় নিয়ে আসা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)