পাথরঘাটায় আমের শাখায় সোনালী মুকুল
দক্ষিনের গ্রাম গুলেতে এখন আমের মুকুলের মৌমৌ গন্ধ বাতাশের সাথে ছরিয়ে পরেছে প্রতিটি বাড়ীতে। কুয়াশা কম থাকায় প্রতি বছরের মত এবছর একটু দেরিতেই মুকুল ধরেছে গাছে। আর এ মুকুলের মৌমৌ সুবাস ছড়িয়ে পড়েছে অসপাশে। কোথাও কোথাও গুটিও দেখা দিয়েছে। সাধারণত মাঘের শীতে যখন কমতে শুরু করেছে ঠিক তখনই এ অঞ্চলের বাগানে দেখা মিলছে আমের মুকুলের।
এমনটাই দেখা গেছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম গুরে। এখানে সবেমাত্র শীতের প্রভাব কমতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়ার পাশাপাশি কুয়াশাও কমছে। শীত ও কুয়াশার শেষে আম গাছের কচি ডগা ও গাছের ডাল ভেদ করে বের হতে শুরু করেছে সোনালী মুকুল। আর দক্ষিনা বাতাশে এই ফুলের আমের শাখায় শাখায় উড়ে বেড়াচ্ছে মৌমাছি। তারা আশপাশ মুখরিত করে তুলেছে। আম গাছে মুকুল আসার আগ থেকেই পরিচর্যা শুরু করেছেন স্থানীয় চাষিরা। আম গাছ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। মুকুল টিকিয়ে রাখতে প্রতিনিয়ত বালাইনাশক প্রয়োগ করছেন তারা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় চলতি মৌসুমে ২৩ হেক্টর জমিতে আম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে এবছর দিগুন বেশী। এবার গত মৌসুমের চেয়ে বেশি আম হবে বলে আসা হচ্ছে। মুকুল টিকিয়ে রাখতে চাষিদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ বজায় রাখছে কৃষি বিভাগ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হওয়ার আশা করছেন তারা।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের আম চাষী মো. আব্দুল জব্বার ও সোনা মিয়া জানান, আমের মুকুল আসার শুরু থেকেই তারা গাছের পরিচর্যা করতে শুরু করেছেন। শীতের শেষ সময় হঠাৎ করে কুয়াশার কারণে মুকুল কিছুটা ঝরে যেতে পারে। অবশিষ্ট মুকুল টিকিয়ে রাখতে কৃষি বিভাগের পরামর্শ মোতাবেক বিভিন্ন পদ্ধতিতে বালাইনাশক প্রয়োগ করছেন। অনুকূল আবহাওয়া থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
পাথরঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিশির কুমার বড়াল জানান, আরো আগে থেকেই আম গাছে মুকুল আসতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই চাষিরা গাছের পরিচর্যা শুরু করেছেন। প্রতিবারের ন্যায় এবারও চাষিদের কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা সার্বিক সহযোগিতা করছেন। কৃষি কর্মকর্তারা চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছেন। এবছর আবহাওয়া যে রকম যাচ্ছে এরকম যদি থাকে তবে আশা করা যাচ্ছে আমের প্রচুর ফলন হবে।