১৬ বছর আগে হারানো বাবা-মায়ের সাথে দেখা করতে চায় মঠবাড়িয়া, র তানিয়া
স্টাফ রিপোর্টার : ১৬ বছর আগে হারিয়ে
যাওয়া তানিয়া বাবা-মায়ের সাথে দেখা করতে চায়। তানিয়া ২০০৩ সালে ছয় বছর বয়সে বাবার সাথে ঢাকার মোহাম্মদপুরের লালমাটিয়া ফুফুর বাসায় বেড়াতে যায়। বাবা সুন্দর আলী সিকদার তানিয়াকে
ফুফুর বাসায় রেখে বাড়িতে আসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে সে বাবার পিছু পিছু কিছু দুরে আসে। এরপর বাসা চিনে আর ফুফুর কাছে যাওয়ার সুযোগ হয়নি তার। লালমাটিয়া একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে টেলিভিশন দেখতে দেখতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। পরে
কান্নাকাটি শুরু করলে গাজীপুর সদর উপজেলার জাজর গ্রামের ভূইয়া বাড়ির পথচারী মোঃ শাহেদ আলী তানিয়াকে নিয়ে যায়। শাহেদ আলী
তানিয়াকে মেয়ের মতো লালন-পালন করে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে ব্রা হ্মনবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার শান্তিনগর গ্রামের সুরুজ মিয়ার ছেলে আনোয়ারের সাথে বিয়ে দেয়। বর্তমানে তানিয়া দুই সন্তানের জননী। হারিয়ে যাওয়ার প্রায় ১৬ বছর পর
বাবা-মায়ের সাথে দেখা করার জন্য ব্যাকুল হয়ে গেছে সে। দিন-রাত সব সময়ই চোখের পানি ঝড়ছে বাবা-মা, এক ভাই ও দুই বোনকে এক নজর দেখার জন্য। কিন্তু তানিয়া থানার নাম মঠবাড়িয়া ছাড়া আর কিছুই বলতে পারে না। ছোট বেলার স্মৃতির মধ্যে বড় একটি পানি
ট্যাঙ্কির কাছ থেকে ভ্যান যোগে লঞ্চঘাট হয়ে ঢাকাতে যায়। এরপর আর কিছু মনে করতে পারে না। তানিয়া জানায়, তার বাবার নাম সুন্দর আলী সিকদার, মায়ের নাম বিলকিস বেগম, বড় ভাই কাইয়ুম এবং ছোট দুই বোন ছনিয়া ও মনিকা। তানিয়ার দেবর রবি মিয়া ও তার দত্তক শাহেদ আলী সিকদার তানিয়ার দেয়া তথ্য অনুযায়ী মঠবাড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অনেক খোঁজাখুজি করেও তানিয়ার বাবা-মায়ের কোন
খোঁজ পায়নি। তানিয়া বর্তমানে ব্রা হ্মনবাড়িয়ার আখাউড়ায় স্বামীর বাড়িতে বসবসা করছে।
মঠবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবদুস সালাম আজাদী জানান, তানিয়ার দেয়া তথ্য অনুযায়ী মঠবাড়িয়াতে বড় ধরণের কোন পানির ট্যাঙ্কি নেই।
মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জি.এম. সরফরাজ জানান, তানিয়ার দত্তক ও দেবরকে একজন সংবাদকর্মী আমার কাছে নিয়ে আসছিল। হারিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি অনেক আগের। তাছাড়া সঠিকভাবে এলাকার নাম ও ঠিকানা বলতে না পাড়ায় তানিয়ার বাবা-মাকে খুঁজে পাওয়া অসম্ভব।