হঠাৎ ঘুর্ণিঝড়ে পাথরঘাটায় অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
মাত্র ৩০ সেকেন্ডের অাকস্মিক ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের কুপদোনসহ বিভিন্ন এলাকার অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি। ভেঙ্গে গেছে শতাধিক গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি। এরমধ্যে ২০ টির মতো দোকান ও ৪০ টির মতো বসত ঘর রয়েছে বলে জানা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে সোমবার সকালে ৬ ঘটিকার দিকে হঠাৎ শুরু হওয়া ঘূর্ণিঝড়টিতে মুহূর্তের মধ্যেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কালমেঘা ও কামারহাট বাজার সহ অাশে পাশের এলাকায়। এতে বৈদ্যুতিক খুটি, দোকান ঘর, বসত বাড়ি, গাছপালা, অাধাপাকা ঘর সহ ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কালমেঘা ইউনিয়নের (ইউপি) সদস্য মো. মোস্তফা বলেন, হঠাৎ ঘুর্নিঝড়ে এক গ্রামের ২৯টি বসতঘর ভেঙ্গে যায়। এতে চারজন আহত হয়েছেন। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপণ করা যায়নি।
পাথরঘাটা পল্লী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের উপকূলীয় ও রিসিপশনের দায়িত্বে থাকা নাজমুল হাসান জানান, ঝড়ের কারণে তিনটি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে এবং গাছের ডাল ভেঙে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। পাথরঘাটা উপজেলায় বিদ্যুত সরবরাহ স্বাভাবিক করতে তিন থেকে চার দিন সময় লাগবে বলে জানান নাজমুল হাসান।
এদিকে ঝড়ের কারণে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে উপজেলায় বিদ্যুত ও পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় সকাল থেকেই থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এবং শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. হুমায়ৃন কবির সরেজমিন পরিদর্শন করে জানান, সকালে ঝড়ে পাথরঘাটা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৬৫ টি ঘর বিদ্ধস্ত হয়। এছাড়া ঘর চাপা পরে ১টি ছাগলের মৃতু হয়। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা দেয়া হবে।